পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় অঙ্ক।
৫৯

সূত্রে আবদ্ধ হইয়াছি যে, উহাদিগের কোন প্রকারে কষ্টে পতিত দেখিলেও হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া উঠে। একেত স্ত্রীজাতি, স্বভাবতঃ স্নেহপ্রবণ হৃদয়, তাহাতে আমার চিত্ত, উহাদের স্নেহে এরূপ আকৃষ্ট হইয়াছে যে, উহাদিগের মুখারবিন্দ মলিন দেখিলেও বিশেষ ক্লেশানুভব হয়। সুতরাং কোন্‌ প্রাণে স্বচক্ষে উহাদিগের মস্তকচ্ছেদন দেখিব তাহা বলুন। বলিতে কি কার্য্যের প্রতিবাদ ঘটিলে পাছে, আপনকার অন্তঃকরণে বিরাগোৎপাদন হয়, এই ভয়ে কোন জিদ্‌ করিতে সাহস হইতেছে না, নচেৎ উহাদের জীবন দণ্ড হওয়া কদাচ আমার অভিপ্রেত নহে। যদি নিতান্ত পক্ষে উহাদিগের নিঃশেষ করাই মনঃস্থ হইয়া থাকে, তবে কোন দূরতর প্রদেশে প্রেরণপূর্ব্বক, অপর কোন ঘাতকের দ্বারা অভীষ্ট সাধন করাই আমার অভিমত। এক্ষণে মহারাজের যেরূপ অভিরুচি।

 লাবণ্যময়ীর নির্ব্বন্ধাতিশয় দর্শনে, বীরজিৎ সিংহ, স্বহস্তে পুত্রদিগের শিরশ্ছেদনে প্রতিনিবৃত্ত হইলেন। কিন্তু শ্বেত ও বসন্তের প্রতি জাতক্রোধ নিঃশেষ হইল না। তিনি ক্ষণ বিলম্ব ব্যতিরেকে, প্রধান নগরপাল ভৈরবকে