পাতা:সুসন্তান লাভের উপায়.pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদি কেহ বংশধরগণকে যথার্থ সুখী, দীর্ঘজীবী, নীরোগ, বুদ্ধিমান ও ধৰ্ম্মপরায়ণ দেখিতে চান, তবে সুফলাকাঙ্ক্ষী কৃষকের ন্যায় তাহাকে পবিত্রমনে পবিত্রভাবে যথাকালে বীজ বপন করিতে হইবে । পুত্রকে পবিত্র ও উন্নত দেখিতে ইচ্ছা করিলে, সৰ্ব্বাগ্রে আপনাকে উন্নত করুন, পশ্চাৎ পুত্র উৎপাদন করিবেন। আর্য্য মহর্ষিদের একমাত্র উপদেশ এই—শাস্ত্রের বিধান এই—অগ্রে ব্রহ্মচারি-ভাবে অবস্থান কর, পরে সন্তান উৎপাদন করিও । বিদ্যা, তপস্যা, ইন্দ্রিয়সংযম প্রভৃতি দ্বারা রেতঃসংযম করিয়া, প্রথমে আপনাকে মনুষ্যত্বের উপযুক্ত করিতে হইবে, পরে অপরের মনুষ্যত্ব সম্পাদন করিবে। রেতঃসংযম ব্রহ্মচারি-ব্রতের একটি প্রধান অঙ্গ । জাৰ্য্যগণ এই রেতো-রক্ষাকে জীবনের সর্ব-প্রধান কাৰ্য্য বলিয়া মনে করিতেন। বর্তমান সময়ে পুনরায় সেই আৰ্য্যদিগের পন্থা অবলম্বন ব্যতিরেকে আমাদের জাতীয় উন্নতির আর কোন উপায় নাই। আজকাল মানবগণ কিসে গাছ ভাল হইবে, কিসে ঘোড়া ভাল হইবে, কিসে গরু ভাল হইবে, ইত্যাদি বাহ উন্নতির চিন্তা করিয়া, তাহার উপায় অবধারণ করেন ; প্রাচীনকালের মহাত্মারা কিসে মানুষ ভাল হইবে, প্রধানতঃ ইহাই চিন্তা করিতেন। তাহারা যে কেবল চিন্তা করিতেন, তাহা নহে ; তাহারা মুসন্তান লাভের উদ্দেন্তে শতসহস্র-প্রকার কঠোর নিয়ম পালন করিতেন । = স্বসন্তান লাভের উপায় সম্বন্ধে মাৰ্য্য মহর্ষিগণ যে সকল নিয়ম ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন এবং আধুনিক পাশ্চাত্য বড় বড় বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতগণ