[ a | বর্ণনা করিতে গেলে আমাদের দৃষ্টি গুৰু মহাশয়ের উপর প্রথম পতিত হয়। গুৰু মহাশয়দিগের শিক্ষাপ্রণালী উন্নত ছিল না এবং তঁাহাদের অবলম্বিত ছাত্রদিগের দণ্ডের বিধানট বড় কঠোর ছিল । নাড়গোপাল অর্থাৎ হাঠু গাড়িয়া বসাইয়া হাতে প্রকাণ্ড ইষ্টক অনেক ক্ষণ পর্য্যন্ত রাখানো, বিছুটি গায়ে দেওয়া ইত্যাদি অনেক প্রকার নিদয় দণ্ড প্রদানের রীতি প্রচলিত ছিল । পাচ বৎসর বয়স হইতে দশ বৎসর বয়স পর্য্যন্ত তাল পাতে ; তার পর পনের বৎসর বয়স পর্য্যন্ত কলীর পাতে ; তার পর কুড়ি বৎসর বয়স পর্য্যন্ত কাগজে লেখা হইত । সামান্য অঙ্ক কষিতে, সামান্য পত্র লিখিতে ও গুৰু দক্ষিণ ও দাতা কর্ণ নামক পুস্তক পড়িতে সক্ষম করা গুৰু মহাশয়দিগের শিক্ষার শেষ সীমা ছিল ৷ গুৰু মহাশয় অতি ভীষণ পদার্থ ছিলেন । আমার স্মরণ হয়, আমি যখন গুৰু মহাশয়ের পাঠশালায় পাঠ করিতাম তখন রামনারায়ণ নামে আমার এক জন সহাধ্যায়ী ছিলেন । তিনি কোন দোষ করিলে, গুৰু মহাশয় যখন রামনারায়ণ! বলিয়া ডাকিতেন, তখন র্তাহার ভয়স্থচক একটা শারীরিক ক্রিয়া হইত! গুৰু মহাশয়ের পর আখমৃজীকে বর্ণনা করা কৰ্ত্তব্য । আখন্জী অতি অদ্ভুত পদার্থ ছিলেন মনে করুন হিন্দুর বাটীর একটা ঘরে মুসলমানের বাসা । তিনি তথায় বৃহদাকার বদন ও স্ত,পাকার পেয়াজ লইয়া বসিয়া আছেন ৷ সাগরেদর নিয়ত বশবৰ্ত্তী । চাকর দ্বারা জল আনয়ন কাৰ্য্য করিয়া লওয়া অঁাখনজীর মনঃপূত হইত না । তাহার সাগরেদৃদিগকে কলসী লইয়া জল আনিয়া দিতে হইত। তখন পারণী পড়ার বড় ধুম । তখন পারশী
পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/১৪
অবয়ব