বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ to J পড়াই এতদ্দেশীয়দিগের উচ্চতম শিক্ষণ বলিয়া পরিগণিত হইত । এই পারশী ভাষা সকল আদালতে চলিত ছিল । ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দে তাহার ব্যবহার আদালতে রহিত হয় ৷ পন্দ নামা, গোলেস্তা, বোস্তা, জেলেখা, আল্লামী প্রভৃতি পুস্তক সাধারণ পাঠ্য পুস্তক ছিল । কেহ কেহ আরবি ব্যাকরণ একটু একটু পাঠ করিতেন । আখৰজীরা পারশীর উচ্চারণ অতি বিকৃত করিয়া ফেলিয়াছিলেন । [ এই খানে বক্ত হাফেজের একটী কবিতা আখন্‌জীদিগের মত প্রথম উচ্চারণ করিয়া পরে তাহার প্রকৃত ইরাণী উচ্চারণ শ্রোতাদিগকে শুনাইলেন। সে কবিতার অর্থ এই “যদি সেই শিরাজের প্রণয়নী আমার উপহারদত্ত চিত্ত র্তাহার হস্তে গ্রহণ করেন তাহ হইলে তাহার মুখের একটি মাত্র কৃষ্ণবর্ণ তিলের জন্ত আমি সমর্কন ও বোখার নগরদ্বয় প্রদান করিতে পারি” । ] অতঃপর সে কালের ভট্টাচার্য্যগণ অামাদিগের বর্ণনাব বিষয় হইতেছেন । তখনকার ভট্টাচার্ষ্যগণ অতি সরলস্বভাব ছিলেন । এখনকার ভট্টাচাৰ্য্যগণ যেমন বিষয় বুদ্ধিতে বিষয়ী লোকের ঘাড়ে যান সে কালের ভট্টাচার্য্যেরা সে রূপ ছিলেন না । র্তাহারা সংস্কৃত শাস্ত্র অতি প্রগাঢ় রূপে জানিতেন এবং অতি সরল ও সদাশয় ছিলেন । সে কালের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সমকালবৰ্ত্তী রামনাথ নামে এক জন পণ্ডিত ছিলেন । তিনি নবদ্বীপের নিকটস্থ একটা গ্রামে বাস করিতেন। তিনি রাজসভাবিচরণকারী চাটুকার ভট্টাচাৰ্য্যদিগের ন্যায় সভ্যতার নিয়ম পরিজ্ঞাত ছিলেন না । এই জন্য লোকে ভঁাহাকে বুনো রামনাথ বলিয়া ডাকিত ৷ এক দিন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র অমাতা