বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৮ ] ছিলেন । ইহঁাদের মধ্যে এক জন অদ্ভুত ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয় নাই। উহার নাম আন্টনি ফিরিঙ্গী। এক জন ফিরিঙ্গী হিন্দু-কবিওয়ালাদিগের দলে প্রবিষ্ট হইয়া খ্যাতি লাভ করিয়াছিল এই আশ্চৰ্য্য! শুনা গিয়াছে, আন্টনি ফরাসডাঙ্গার এক জন সম্ভ,ান্ত ফরাশিসের পুত্র । তিনি যৌবনের প্রারম্ভে ফরাসডাঙ্গার বিখ্যাত গাজিয়ালদিগের সংসর্গে পড়িয়া বয়ে গিয়াছিলেন । তৎপরে কবিওয়ালাদিগের দলে প্রবিষ্ট হইয়। একজন বিখ্যাত কবিওয়াল হইয়া উঠিয়াছিলেন । তিনি দুর্গার প্রতি উক্তি করিয়া বলিয়াছিলেন-— “যদি দয়া করে তার মোরে এ ভবে, মাতঙ্গী ! ভজন সাধন জানি না, মা ! জেতেতে ফিরিঙ্গী” পুনরায় “আণ্টনি ফিরিঙ্গী বলে, নিদান কালে মা, দিও চরণ দুখানি দিও চরণ দুখানি ।” যখন বঙ্গসমাজ এই রূপে চলিতেছিল, তখন ইহা পরিবর্তন করিতে এক ব্যক্তি বিশেষ চেষ্টাম্বিত ছিলেন । তিনি কে, না, স্কুলমাষ্টর প্রথমে তাহার বেশ ভূষা অস্তুত, ইংরাজী উচ্চারণ কদাকার, শিক্ষাপ্রণালী অপকৃষ্ট ছিল । রাজা সর রাধাকান্ত দেব বাহাদুরকে একজন ইংরাজী পড়াইতেন । তিনি যখন পড়াইভে আসিতেন, তখন জরির জুতা ও মতির মালা পরিয়া আসিতেন । এখন একবার মনে করে দেখুন দেখি, প্রেসিডেন্সি কলেজের একজন বাঙ্গালী অধ্যাপক মতির মালা গলায় ও জরির জুতা পায় দিয়া বসিয়া পড়াইতেছেন, কি চমৎকার বোধ হয় ! সৰ্ব্বপ্রথমে লোকের ইংরাজী পড়িতে হইলে টাময় ডিম্ব