[ ৩২ ] দেশের লোকের কি সভ্য সত্য বেগুন গাছে অ্যাকুষি দিবে না কি ? এক শত বৎসর পুৰ্ব্বে যে সকল লোক জীবিত ছিলেন, র্তাহারা যদি ফিরিয়া আইসেন, তাহা হইলে আমাদিগকে খৰ্ব্বকায় দেখিয়া আশ্চর্য্য হয়েন, সন্দেহ নাই 1 ছেলেবেলা সে কালের স্ত্রীলোক কর্তৃক ডাকাইত তাড়ানোর গম্প সকল শুনা গিয়াছিল। এক্ষণে স্ত্রীলোকের কথা দূরে থাকুক, পুৰুষের এরূপ সাহসের কার্য্য শুনা যায় না । এক্ষণকার পুৰুষেরা একটা শিয়াল তাড়াইতেও সক্ষম নহে । এই শারীরিক বলবীৰ্য্য হানির কয়েকট কারণ নির্দেশ করিতে পারা যায় । সেই সকল কারণ নিম্নে উল্লিখিত হইতেছে । বাল্য বিবাহাদি যে সকল কারণ সে কাল এ কাল দুই কালে সাধারণ তাহা এখানে ধরা গেল না, কেবল এই কালে যে সকল কারণের উৎপত্তি হইয়াছে, তাহাই ধরা গেল । ১ । এ কালের লোকের বলবীৰ্য্য ক্ষয়ের ও অম্পায়ুর প্রথম কারণ, দেশের নৈসর্গির প্রকৃতির পরিবর্তন বলিতে হইবে । এইরূপ পরিবর্তনের এক প্রধান প্রমাণ এই যে, পূর্বে শীতকালে যেরূপ শীত হইত, এক্ষণে সেরপ হয় না। পূৰ্ব্বে সামান্য গৃহস্থকেও শীতকালের অধিকাংশ দিন আহারের পর গরম জলে অভ্যাচাইতে হইত। কিন্তু এক্ষণে কেহ সেরূপ করে না । ষাইট সোত্তর বৎসর বয়ঃক্রমের নবদ্বীপবাসী ব্যক্তিরা বলিতেন যে, তাহার। বাল্যকালে ঘরের চালের উপর খড়ি গুড়ার ন্যায় এক পদার্থ পড়িতে দেখিতেন, তাহাকে তাহারা পালা বলিতেন । সেই পদার্থকে ইংরাজীতে Frost বলে, ভাহণ অত্যন্ত শীতের চিহ্ন । পূর্বে লোকে কলিকাতা হইতে ত্রিবেণী,
পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/৩৯
অবয়ব