বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I లిసి ] তাছাও স্বাক্ করিলাম, ফের এর উপর আবার অর্জসের পোষাংস ?’ । এদেশের লোকের পক্ষে গোমাংস অত্যন্ত উষ্ণবীৰ্য্য ও অস্বাস্থ্যকর দ্ৰেব্য । একজন প্রসিদ্ধ ইয়ংবেঙ্গাল বলিতেন যে প্রত্যহ এবেল অৰ্দ্ধসের আর ওবেলা অৰ্দ্ধসের গোমাংস ভক্ষণ না করিলে বাঙ্গালী জাতি কখনই বলিষ্ঠ হইবে না এবং যাহা বলিভেন কার্ষ্যে তাহাই করিতেন । কিন্তু পরিশেষে তাহার এক ত্বাচ রোগ উপস্থিত হইয়া শরীর এমনি অসুস্থ হইয়া পড়িল যে পাচক ব্রাহ্মণ রাখিয়া ভাত ভাইল ধরিতে বাধ্য হইলেন । কিন্তু উপরে যে ভয়ানক গোখাদকদিগের কথা বলিলাম এরূপ ভয়ানক গোখাদক দূরে থাকুক, সামান্য গোখাদকই বাঙ্গালীর মধ্যে কয়জন আছে ? অতি অণপই তাছে। প্রধান গোখাদক আমাদিগের ইংরাজরাজপুৰুষেরা ও মুসলমানেরা 1 তাহারা গৰু খাইয়া উজাড় করিয়া ফেলিলেন এই জন্য দুগ্ধ মহার্ঘ্য হইয়া উঠিয়াছে। প্রাচীনতম হিন্দুরা গোমাংস ভক্ষণ করিতেন শাস্ত্রে এমন উদাহরণ পাওয়া যায় । কিন্তু মধ্য সময়ের হিন্দুগণ গোৰুর উপকারিত্ব ও এদেশে তাহার মাংস ভক্ষণের অস্বাস্থ্যকর দোষ প্রতীতি করিয়া গোমাংসভক্ষণ শাস্ত্রে নিষেধ করিয়া গিয়াছেন। গোৰু যেরূপ উপকারী জন্তু, তাহার সম্বন্ধে এই রূপ ব্যবহারই নিতান্ত কৰ্ত্তব্য 1 আকবর বাদশাহ তাহার রাজ্য মধ্যে গোস্থত্যা নিবারণ করিয়াছিলেন । তাহাতে ভিনি সমুদয় হিন্দুবর্গের বিশেষ শ্রদ্ধাভাজন হইয়াছিলেন । কিন্তু ঐ মহা অনিষ্টকর ও নির্দয় প্রথা এক্ষণে নিবারিত হইবার কিছুমাত্র আশা নাই । দুগ্ধ মহার্ষ্য হওয়াতে বাঙ্গালীরা ক্রমশঃ ক্ষীণ ভইয়া পড়িতেছে । শরীরের অসম্পূর্ণ পোষণ বর্তমান বাঙ্গালী