[ 8& 」 য়াছেন । বর্ণ কিউলর বুড়োর রাত্রি থাকিতে নিদ্রা ভঙ্গ হয় । নিদ্রা ভঙ্গ হইলে বিছানাতে শুইয়া শুইয়া ধৰ্ম্ম সঙ্গীত গান করেন,—ইহা কেমন চিত্ত প্রফুল্লকর । তৎপরে শয্যা হইতে উঠিয়া প্রাতঃস্নান করেন—ই হ’তে শরীর কেমন ভাল থাকে। ভাঙ্গার পর স্নান করিয়া ফুলের বাগানে গিয়া ফুল তুলে তানের পর সুগন্ধ শরীরের পক্ষে কেমন হিতকর । ফুল । হরণ করিয়া দেব পূজা করেন, তাহা মনের প্রফুল্লতা সঞ্চার করিয়া শরীর মন উভয়ের বল সাধন করে ৷ এক জন ইংরাজ সংশয়বাদী, সংশয়বাদী হইয়াও তামাকে বলিয়াছিলেন যে উপসন। যেমন মনের টনিক অর্থাৎ বলকর ঔষধ এমন অর দ্বিতীয় ) নাই । এইত গেল বর্ণাকিউলর বুড়োর কথা । আর যিনি এংগ্লিসাইজড বুডো, তিনি খান খাইয়া ও ব্রাত্তি পান করিয়া অনেক বেল পর্য্যন্ত নিদ্রা যান ; হর্য্যোদয় কেমন করে হয়, তা কখন দেখেন নাই ও প্রাতঃকালের মুক্ষিন্ধ বায়ু কখন সেবন করেন নাই । অনেক বেলায় ঘুম ভাঙলো, কিন্তু এমন সহজ কাজ যে, চক্ষু সম্পূর্ণ রূপে খোলা ইহা ও তাহার পক্ষে দুঙ্গর কার্য্য বোধ হয় । শারীরিক গ্রানি অত্যন্ত, খোমারি হইয়াছে; বিপদ উপস্থিত!! এইরূপে ইংরাজী অাতার পানে ও অন্যান্য ইংরাজী রীতি পালনে এগ্লিসাইজড় বুডোর শরীর নানা রোগের আধার হয় । আমি এই স্থলে দুই পক্ষের দুইট একুশেষ দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিলাম । সাধারণতঃ বলিতে গেলে, ইংরাজীওয়ালার। প্রাচীন-রীতি-পালনকার ব্যক্তিদিগের ন্যায় উটে ও সুস্থকায় নহেন । ইহার কারণ র্তাহারা অনেক পরিমাণে ইংরাজী আচার ব্যবহারের অণুসরণ করিয়া থাকেম ।
পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/৪৯
অবয়ব