বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ 8 & ভাষায় কিছু ব্যুৎপত্তি জন্মে নাই । সে সময়কার ছাত্রদিগের পক্ষে বাক্ষালা ভাষা অতি ভীষণ পদার্থ ছিল । অামাদিগের সময়ের কলেজের প্রথম শ্রেণীর একটি ছাত্রকে এক দিন কলেজে যাইবার সময় রাস্তায় একজন সামান্য লোক একটি বাঙ্গালা লেখা পড়িয়া তাহার মৰ্ম্ম তাহাকে বুঝাইতে অনুরোধ করে । তিনি সে লেখাটি বুঝিতে ন পারিয়া তাহার এতদূর লজ্জা উপস্থিত হইল যে ললাটে শ্বেদ বিন্দু নিঃসৃত হইতে লাগিল । ইহাতে উল্লিখিত ব্যক্তি র্তাহার নিকট হইতে কাগজ ফিরাইয়া লইয়া বলিল “বাবু! এ ইডিবিডি করা নয়, বাঙ্গলার ঘানি ।” একবার এই সময়ের শিক্ষিত আমার একটা বন্ধু বয়স্ক অবস্থায় আমার বাসায় একদিন আসিয়া বলিলেন “আজ একটা বড় শুভ সমাচার শুনিলাম ।” আমরা আস্তে ব্যস্তে জিজ্ঞাসা করিলাম, “কি সমাচার ?” তিনি বলিলেন, “সোমপ্রকাশাদি সম্বাদ পত্রে না কি আন্দোলন হচ্ছে যে তিনটা ‘স উঠে গিয়ে একটা ‘স’ হবে তা হলেই আমার বাঙ্গালা লেখার সুবিধা হবে।” তিনি একবার এক সভায় “অভিনন্দন পত্র" শব্দের পরিবর্ভে “রঘুনন্দন পত্ৰ” বলে ফেলেছিলেন । ঐ সময়ে কলেজে শিক্ষিত কোন ব্যক্তি কোন প্রধান বিদ্যালয়ের বাঙ্গালী ভাষার অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন । তিনি তাহার সহকারী পত্তিতকে ব্যাঘ্র শব্দ সম্বন্ধে জিজ্ঞাশা করিয়াছিলেন, “পণ্ডিত মহাশয়! এই শব্দের উচ্চারণ ব্র্যাঘঘ না ?” পণ্ডিত মহাশয় বলিলেন “উহার উচ্চারণ ব্যাঘ্র ।” অধ্যাপক মহাশয় বলিলেন “আমি তাইত বলছি—ব্র্যাঘঘ, ব্র্যাঘঘ ।” উল্লিখিত সময়ের আর এক ক্যক্তিকে কোন প্রয়োজন উপলক্ষে বকয়ু খানসামা নামক কোন