ss শিক্ষা ন হইলে, আমি বলি কোন শিক্ষাই হইল না । ঈশ্বরের প্রতি আমাদিগের কৰ্ত্তব্য কি, অন্য মনুষ্যের প্রতি আমাদিগের কুৰ্ত্তব্য কি, জীবনের উদ্দেশ্য আমরা কিরূপে সম্পাদন করিতে পারি, কি প্রকারে পবিত্রমন ও মহৎ হইয়া জীবনের সার্থকভা সম্পাদন করিতে পারি, ইহা জানা নীতিশিক্ষণ ব্যতীত কি প্রকারে সস্তুবে ? কলেজ ও স্কফুলে বিশেষ করিয়া নীতিশিক্ষণ দেওয়া হয় না ও বালকের সন্নীতি পালন করে কিনা এবিষয়ে তত তত্ত্বাবধান নাই, ইহা অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয় বলিতে হইবে । উপরে পুৰুষদিগের শিক্ষার বিষয়ে বলিয়া স্ত্রীদিগের শিক্ষার বিষয়ে কিছু না বলিয়া থাকিতে পারি না। স্ত্রীলোকের দশ বার বৎসর বয়স অবধি বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ে, তাহাতে কেবল বর্ণপরিচয় ও শব্দ পরিচয় মাত্র হয়, তাহার পর আর লেখা পড়ার কোন চর্চাই থাকে না । “স্ত্রীশিক্ষণ বিধায়ক” গ্রন্থের রচয়িত রাজা সরু রাধাকান্ত দেব আমাদিগের দেশে স্ত্রীশিক্ষার প্রথম প্রচারক কিন্তু ভঁাহার ঐ গ্রন্থে তিনি যে সকল বিদ্যাবর্তী স্ত্রীর উদাহরণ দিয়াছেন, আমাদিগের কোন স্ত্রীলোক অদ্যাপি সেরূপ বিদ্যাবর্তী হইতে পারেন নাই । আপনাদিগের, অবশ্য সে দিবস বেশ স্মরণ হয়, যে দিবস পূর্ণকুম্ভ স্থাপন ও অশোকবৃক্ষ রোপন পূর্বক মহামহোৎসবের সহিত বাটন বালিকাবিদ্যালয় স্থাপন করা হয় এবং ‘কন্যাপেৰং পালনীয়া শিক্ষনীয়াতিষত্নতঃ মহানিৰ্ব্বাণভন্ত্রের এই শ্লোক দ্বারা আলিখিত যান সকল স্বলে বালিকা লইয়া যাইবার জন্য দ্বারে দ্বারে ভ্রমন করিত । মহাত্মা বাটন সাহেব ছ "
