[ съ | দিগের বন্ধু উত্তর করিলেন,—“আপনাদিগের বেলা দেশাচার বলবৎ, আর আমাদিগের বেলা ভাহা কিছুই নহে, আপনার এরূপ বিবেচনা করেন কেন ?” । চতুর্দিকে হীন অনুকরণের প্রবলতা দৃষ্ট হইতেছে । প্রতি পদেই অনুকরণ, ইহাতে আন্তরিক সারবত্তার হানি হইতেছে, বীৰ্য্যের হানি হইতেছে, আমরা অন্য সমাজীয়দের ক্রীতদাস হইয়া পড়িতেছি । কি আশ্চর্য্য ! সাহেবেরা যাহা করিবেন, তাহাই ভাল, আর সব মন্দ । এ উপলক্ষে একটা গল্প মনে পড়িল । কতকগুলি লোক এক বাসায় থাকিত ! তাহার এক দিন একটা কাঠাল ক্রয় করিল । তাহাদের মধ্যে একজন বড় ইংরাজভক্ত এবং কাঁঠালভক্তও ছিলেন ; আর আর সঙ্গীদিগের ইচ্ছা হইল যে র্তাহাকে কাঠালের ভাগ ফাকি দেয় । একজন উহার মধ্যে বলিয়া উঠিল, “ইংরাজেরা কাঠাল খায় ন।” তিনি আমনি কাঠাল ভক্ষণে বিরত হইলেন, আর আর বন্ধুর সমুদয় কাঠাল খাইয়া ফেলিল । ইংরাজের না থাকিলে কোন সভা জাকে না । ইংরাজের ভাল না বলিলে কোন কার্য্যের মূল্য হয় না । সকল কাজেই রাঙ্গামুখের বানিৰ চাই । এ বিষয়ে অার একটা গল্প মনে হইল । একবার এক ব্যক্তি আর একজনকে বলিতেছিল, “ওদের বাটতে পূজার বড় ধুম, গোরায় লুচি ভাজছে ।” যে কার্য্য গোরায় করে তাহার ভারি মূল্য । এখন আমাদের সকল কার্য্যেই গোরার দ্বারা লুচি ভাজান চাই ! সমাজিক বিষয়েতেও সাহেবদিগের সাহায্য চাই । সাহেবের। হিন্দুসমাজ সম্বন্ধীয় বিষয়ে যেরূপ বিজ্ঞতা ফলান্, তাহ দেখিলে আমার হাসি
পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/৬৫
অবয়ব