বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ b & ] ছইয়াছেন । বিজাতীয় ভাষা, বিজাতীয় ভাব, বিজাতীয় ধৰ্ম্ম, কখন এ দেশে স্থায়ী হইবে না, এ বিষয়ে শ্ৰীযুক্ত বাবু চন্দ্রশেখর বস্থ মহাশয় একখানি উৎকৃষ্ট পুস্তক প্রকাশ করিয়াছেন, তাহার নাম “অধিকারতত্ত্ব ।” সেই গ্রন্থ হইতে কিয়দংশ উদ্ধত করিয়া পাঠ করিতেছি । “ইংরাজদিগের রীতি, নীতি, ভাবভঙ্গী, অনুকরণ করার ইচ্ছা আমাদিগের যুবকগণের মনে বলবতী হইয়া উঠিয়াছে । কিন্তু অনৰ্থক কতিপয় ভাবভঙ্গী রীতি নীতির অনুকরণ করা কেবল হীনতা মাত্র । তাহাকে উদ্ধার বলে না, তাহা হান অনুকরণ শব্দের বাচ্য । ইংরাজী বিদ্যার যোগে এ দেশে যাহা আসিতেছে, অনেকে তাহাই অনুকরণ করিতেছেন । ইংরাজের শিক্ষণ দিলেন, ভূত প্রেভ নাই, তাহারাও ভূত প্রেত মানিলেন ন। ; পশ্চাৎ ইংরাজী পুস্তকে লিখিল, ভূত প্রেত আছে, আবার মানিলেন । এদেশের লোক মদ্যপায়ী ছিল না, যুবাপুৰুষেরা ইংরাজদিগের অনুকরণে পান করিতে শিথিলেন ; পশ্চাৎ ইংরাজের সুরাপাননিবারণী সভা করিতেছেন, দেখিয়া র্তাহারাও সভা করিলেন । একেশ্বরবাদী খৃষ্টানগণ কহিলেন যে, য়ীশুকে মানব ধর্মের অাদর্শ স্বরূপ গ্রহণ না করিলে মুক্তি নাই ; তাহারাও য়ীশুকে অবলম্বন করিলেন । আবার যদি ইংরাজেরা কহেন, য়াশুকে ধর্মের মধ্যে রাখা উচিত নহে, তখন তাছারাও যীশুকে ত্যাগ করিবেন । হিন্দুশাসন কালে আমাদের দেশের স্ত্রীগণ এখনকার ন্যায় গৃহে ৰুদ্ধা থাকিতেন না । মুসলমানদিগের অনুকরণে বা ভয়ে আমাদের বর্তমান অন্তঃপুর নির্মিত হইল। এখন