[ ৬৯ ] রৌদ্রের সময় ছাতী ঘাড়ে করিয়া বসিয়া খনন কার্য্যের তত্ত্বাবধান করিতেছেন । র্তাহার বাড়ীতে এক স্বপ্নাদ্য ঔষধ ছিল ; দেশবিদেশ হইতে রোগী সকল তাহা লইতে আসিত । তিনি কখন কখন তাহাদের মলমূত্র পর্যন্ত স্বহস্তে পরিষ্কার করিতেন । এমন পরহিতৈর্ষিতা এখন কোথায় দেখা যায় ? এক্ষণে আতিথেয় ধর্মেরও হ্রাস হইয়া আসিতেছে । সে কালের এমন সকল গম্প শুনা আছে যে, এক এক লোকের বাড়ীতে রাণীকৃত অন্ন পাক হইত ; সেই রাশীকৃত অন্নের উপর ঘি ঢালিয়া দেওয়া হইত। কেবল বাড়ীর কৰ্ত্তা যিনি তিনিই ঘি খাবেন, এ বড় খারাব কথা, সেই সন্ধত অন্ন অতিথি অভ্যাগত সমুদায় লোককে ভোজন করান হইত। এখন এমনি হইয়া উঠিয়াছে, বাগান হইতে আম্র আইলে তাহার মধ্যে হিসাব মত কয়েকটা রেখে বাকী বাজারে বিক্রয় করিতে দেওয়া হয়। পূৰ্ব্বে বাটতে লোক অাইলে তিনি যাহাতে অধিক দিন থাকেন, লোকে এমন আগ্রহ প্রকাশ করিত, পূর্বে ঘটি বাধা দিয়া লোকে অতিথিসেবার ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিত, এক্ষণে অতিথি বাট হইতে বেৰুতে পারিলে বাচে । এখনও কলিকাতা অপেক্ষা পল্লিগ্রামে অধিক আতিথেয় আছে । যেমন অন্য দেশীয় লোক অপেক্ষ স্বদেশীয় লোক নিকটতর, তেমনি অন্য স্বদেশীয় লোক অপেক্ষ আত্মীয় কুটুম্ব নিকটতর। এই নিকটতর সম্পর্কবোধ ক্রমে হ্রাস হইতেছে । পূৰ্ব্বকার লোকেরা আত্মীয় স্বজনের যেমন সম্বাদ লইতেন, এক্ষণকার লোকে তেমন লয় না । বদান তা বিষয়েও একালের লোকদিগের হীনতা দৃষ্ট হয় । এক্ষণকার বদান্যতা চাদাপুস্তকগত বদানত,
পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/৭৬
অবয়ব