[ ११ ] উহ্য আপনাতে আপনি না থাকিয় ঐ সকল আচার ব্যবহারকে ঐ আলোক অস্বাভাবিক অতিশয্যের সহিত সেবন করাইতেছে ; ইহাতে কেবল এই ফল হইতেছে, যে উক্ত সমাজ গাজিয়া উঠিয়া ভ্রষ্টাচার রূপ জঘন্য তাড়ি উৎপন্ন করিতেছে । আবার র্যাহার এই জঘন্য তাড়ি পান করেন, র্তাহাদের মত্ততাই বা কত ? চরিত্র বিষয়ে দেশস্থ লোকের অবনতির কারণ তাহাদিগের ধৰ্ম্ম বিষয়ে অবনতি ৷ ধৰ্ম্মের প্রধান উপাদান ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ও পরকালের ভয় । সে কালের লোকের বিশ্বাস যেরূপ থাকুক না কেন, ঈশ্বরের প্রতি বিলক্ষণ শ্রদ্ধা ও ভক্তি ও পরকালের ভয় ছিল ; এক্ষণকার লোকদিগের সেরূপ দৃষ্ট হয় না । 'বিদ্যানুশীলনের প্রাদুর্ভাব বশতঃ ধৰ্ম্ম বিষয়ে সত্যজ্ঞান প্রচারিত হইতেছে বটে, কিন্তু ধর্মের প্রধান উপাদান শ্রদ্ধা, ভক্তি ও পরকালের ভয়, সে সকল ক্রমে তিরোহিত হইতেছে । " এক্ষণকার সাকার উপাসকদিগের অাপনাদিগের উপাসিত দেব দেবীতে তত বিশ্বাস নাই , তাহাদিগের মধ্যে ধৰ্ম্ম এক্ষণে কেবল তামসিক ব্যাপার হইয়া উঠিয়াছে। এক্ষণকার নিরাকার উপাসকদিগকে জিজ্ঞাস্য এই যে, সরলচিত্ত বিশ্বাসী সাকার উপাসকেরা যেমন উtহাদের দেবতাকে সাক্ষাৎ দেখেন, তাহারণ কি নিরাকার ঈশ্বরকে সেইরূপ সাক্ষাৎ দেখিয়া তাহার উপাসনা থাকরেন ? সে কালের পৌত্তলিকেরা যেরূপ র্তাহাদিগের ধর্মের নিয়ম সকল পালন করিতেন, তাহারা কি তাহাদের ধর্মের নিয়ম, বিশেষতঃ উপাসনার নিয়ম সেইরূপ পালন করিয়া থাকেন ? পূৰ্ব্বকালের লোকেরা যেমন সকল কার্য্যে পরকালের ভয় করিতেন, তাহার। ক্রি সেইরূপ করিয়া থাকেন ? সে কালের লোকেরা যেরূপ ধৰ্ম্ম
