তোমাকে বধ্যভূমিতে প্রেরণ না করিয়া অদ্যকার সমুদায় দিবস কারাগৃহে থাকিতে অবকাশ দিলাম, তুমি ইতিমধ্যে ঋণ অথবা যাচিতকাদি দ্বারা দণ্ডের অর্থ সংগ্রহ করিতে যত্ন কর।
এফিসসাধিরাজ যদিও ইজিয়নের বিষাদাবহ বৃত্তান্ত আকর্ণনে দয়াবান্ হইয়া তাহার সদ্যঃ সংহার স্থগিত করিলেন তথাপি বর্ষীয়ান্ বণিকের জীবন রক্ষার সম্ভাবনা মাত্র রহিল না যেহেতু সেই বিদেশে তিনি নব প্রবাসী ও নিতান্ত অপরিচিত, কে তাহাকে সহস্র সুবর্ণ ঋণ অথবা যাচিতক দিবে। অতএব বৃদ্ধ বণিক্ ভূপতির কৃপার ফল অসম্ভব বোধে নিরাশ হইলেন, পরে প্রহরি পরিবৃত হইয়া কারাগারে প্রবেশ করিলেন।
ইজিয়ন্ মনে করিয়াছিলেন ঐ নগরে তাঁহার বন্ধুবান্ধব কেহ নাই, কিন্তু তিনি যে আত্মজের জন্য স্বদেশ পরিত্যাগ করিয়া ভূরি২ ক্লেশ ভোগর পর এই বিপদে পতিত হইয়াছিলেন সেই সন্তান ও তাহার অগ্রজ উভয়েই পরস্পর অপরিচয়ে সেখানে অবস্থিতি করিতে ছিল।
বণিক্ নন্দনদের উভয়ের আকৃতি ও মুখভঙ্গি পরস্পর সদৃশ ছিল, দুই জনের মধ্যে প্রভেদ প্রায় করা যাইতে পারিত না, এই নিমিত্ত উভয়েই আন্তিফোলসাভিধেয় হয়। অপর তাহাদের দুইটী যমজ দাসও পরস্পর অবয়বে বৈলক্ষণ্য শূন্য হওয়াতে দুই জনেই দ্রুমিও অভিধান প্রাপ্ত হয়। কনিষ্ঠ আন্তিকোলসের অনুসন্ধান নিমিত্ত ইজিয়ন্ যে দিন এফিসসে আগমন করিলেন, সেই দিন ঐ কুমার আপন কিঙ্কর কনীয়ান্ দ্রুমিও সমভিব্যাহারে তন্নগরে পদাপর্ণ করে, কিন্তু ভাগ্যক্রমে জনেক মিত্র সহ সাক্ষাৎকার হওয়াতে তাহাকে জনকের ন্যায় দুর্গতি ভোগ করিতে হইল না। তাহার সেই বন্ধু তাহাকে দেখিবা মাত্র কহিল হে বন্ধো, তুমি সিরাকুজ দেশীয়, একারণ এই এফিসস্ নগরে তোমার পদার্পণে অপ্রতিসমাধেয় বিপদ ঘটিবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা, তাহার প্রমাণ এই, অদ্য তোমার স্বদেশস্থ এক জন বৃদ্ধ বণিক্ এখানে আসিয়া রাজ