সেক্সপিয়র।
কর্কশার ধীরতা।
পাদুয়া নামক প্রসিদ্ধ নগর মধ্যে ব্যাপ্তিস্তা নামা এক জন সম্ভ্রান্ত ধনী বসতি করিতেন। তাহার কেথারিন্ ও বাএন্কা নামিকা দুই কন্যা হয়। জ্যেষ্ঠা কেথারিন্ কর্কশ প্রকৃতি, কলহ প্রিয়া, এবং স্বর পারুষ্যে পুরবাসি সকলের সাতিশয় বিরাগভাজন হওয়াতে শৈশবাবধি কর্কশা কেথারিন্ নামে বিগীতা হইল সুতরাং তদীয় আত্মীয় স্বজন মনে২ সন্দেহ করিতে লাগিলেন কোন বিশিষ্ট সন্তান সস্পৃহ হইয়া তাহার পাণি পীড়ন বা না করেন। ফলতঃ কালক্রমে তাহার বয়ঃক্রম প্রবৃদ্ধ হইল তথাচ কেহ আসিয়া বিবাহের প্রসঙ্গ করিল না। তদীয়া কনীয়সী ভগিনীর পাণি গ্রহণ নিমিত্ত ভূরি২ যোগ্য বর আসিতে লাগিল কিন্তু ব্যাপ্তিস্তা কনিষ্ঠার পরিণয়ে অনুমতি দিতে শৈথিল্য করিলেন এবং বরপাত্রদিগের নিকট তদ্বিষয়ের এই হেতু দর্শাইলেন যে বাএন্কার অগ্রজা অপরিণীতা আছেন আদৌ তাঁহাকে পাত্রসাৎ করা যাউক পশ্চাৎ ইহাঁর বিবাহের কথা হইবেক।
কিয়ৎ কালানন্তর পেত্রুসিও সংজ্ঞক কোন সম্ভ্রান্ত পুরুষ দার পরিগ্রহার্থ আগ্রহান্বিত হইয়া পাদুয়া নগরে আগমন করিলেন এবং কেথারিনের রীতি প্রকৃতি অবগত হইলেও তাহাকেই বিবাহ করিবার নিমিত্ত ব্যগ্র হইলেন। ঐ কামিনীর কমনীয় রূপ লাবণ্য ও প্রচুর ঐশ্বর্য্য সম্পত্তির বিষয় বিদিত হওয়াতে তাঁহার দৃঢ়তর প্রতিজ্ঞা হইল