পাতা:সে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

 আমি বললেম, তবেই তো চোর কে তা জানা গেল।

 টিপিটিপি হেসে তুমি বললে, কে বলো তো।

 এ নিঃসন্দেহ চাঁদামামার কাজ।

 কী ক’রে জানলে।

 তারও যে অনেক কালের বাতিক খরগোষ পোষা।

 কোথায় পেয়েছিল খরগোষ।

 তোমার বাবা দেয়নি।

 তবে কে দিয়েছিল।

 ও চুরি করেছিল ব্রহ্মার চিড়িয়াখানায় ঢুকে।

 ছিঃ।

 ছিঃই তো। তাই ওর গায়ে কলঙ্ক লেগেছে, দাগা দিয়েছেন ব্রহ্মা।

 বেশ হয়েছে।

 কিন্তু শিক্ষা হোলো কই। আবার তো তোমাকে চুরি করলে। বোধ হয় তোমার হাত দিয়ে ওর খরগোষকে ফুলকপির পাতা খাওয়াবে।

 খুসি হোলে শুনে। আমার বুদ্ধির পরখ করবার জন্যে বললে, আচ্ছা বলল দেখি, খরগোষ কী করে আমাকে পিঠে করে নিলে।

 নিশ্চয় তুমি তখন ঘুমিয়ে পড়েছিলে।

 ঘুমলে কি মানুষ হাল্কা হয়ে যায়।

 হয় বৈকি। তুমি ঘুমিয়ে কখনো ওড়োনি।

 হাঁ উড়েছি তো।

 তবে আর শক্তটা কী। খরগোষ তত সহজ, ইচ্ছে করলে কোলা ব্যাঙের পিঠে চড়িয়ে তোমাকে মাঠময় ব্যাং-দৌড় করিয়ে বেড়াতে পারত।

 ব্যাং! ছী ছি ছি। শুনলেও গা কেমন করে।

 না, ভয় নেই—ব্যাঙের উৎপাত নেই চাঁদের দেশে।

৯৪