এর পক্ষিরাজের চেহারা দেখতে চাও।
চাই বই কী।
ছাতাটা ফস ক’রে খুলে দিলে। ছাতার পেটের মধ্যে ঘোড়ার খাবার দানা ছিল সেগুলো ছড়িয়ে পড়ল ছাদে।
আমি বললুম, আশ্চর্য্য। কী আশ্চর্য্য। এ জন্মে পক্ষীরাজ দেখব কোনোদিন এমন আশাই করিনি।
এইবার আমি উড়ছি দাদা। চোখ বুজে থাকে তাহলে বুঝতে পারবে আমি ঐ মেঘের কাছে গিয়ে ঠেকেছি। একেবারে অন্ধকার।
চোখ বোজবার দবকার করে না আমার। স্পষ্টই জানতে পারছি তুমি খুব উড়ছ, পক্ষীরাজেব ডানা মেঘের মধ্যে হারিয়ে গেছে।
আচ্ছা, দাদামশায়, আমার ঘোড়াটার একটা নাম দিয়ে দাও তো।
আমি বললুম, ছত্রপতি।
নামটা পছন্দ হোলা। রাজপুত্তুর ছাতার পিঠ চাপড়িয়ে বললে, ছত্রপতি। নিজেই ঘোড়ার হয়ে তার জবাব দিলে, আজ্ঞে।
আমার মুখের দিকে চেয়ে বললে, তুমি ভাবছ আমি বললুম; আজ্ঞে, তা নয়, ঘোড়া বললে।
সে কথাও কি আমাকে বলতে হবে। আমি কি এত কালা।
রাজপুত্তুর বললে, ছত্রপতি, আর ভালো লাগছে না, চুপচাপ পড়ে থাকতে।
তারি মুখ থেকে উত্তর পাওয়া গেল, কী হুকুম বলো।
তেপান্তরের মাঠ পেরোনো চাই।
রাজি আছি।
আমি তো আর থাকতে পারিনে, কাজ আছে—রসে ভঙ্গ দিয়ে বল্তে
১০১