গেছ। সুকুমারদা না হয় অঙ্কই ভালো কষত কিন্তু আমার বেশ মনে আছে একদিন সে ‘অবধান’ কথাটার মানে ভেবে পাচ্ছিল না, আমি শ্লেটে লিখে আড় ক’রে ধ’রে তাকে দেখিয়ে দিয়েছিলুম, এ কথাগুলো বুঝি তোমার গল্পের মধ্যে পড়ে না।
আমি বললুম, আমার খুসির কারণ এ নয় যে মনের জ্বালায় তুমি সুকুমারদার যৌবরাজ্য মান্তে চাওনি। তার উপরে তোমার হিংসের কারণ ছিল আমার উপর তোমার অনুরাগবশত,আমার আনন্দের স্মৃতি রয়েছে ঐখানেই।
আচ্ছা তোমার অহঙ্কার নিয়ে তুমি থাকো।—একটা কথা তোমাকে জিগেস করি, সেই যে তোমার নামহারা বানানো মানুষটি—যাকে বলতে সে, তার হোলো কী।
আমি বললেম, তার বয়স বেড়ে গেছে।
ভালোই তো।
সে এখন চিন্তা কবে, মাথায় তার দুঃসমস্যার ভিমরুলে চাক বেঁধেছে, তর্কে তার সঙ্গে পারবার জো নেই।
দেখছি আমারি প্যার্যাল্যাল লাইনেই চলেছে।
তা হোতে পারে, কিন্তু গল্পের এলেকা ছাড়িয়ে গেছে। থেকে থেকে সে হাত মুঠো ক’রে ঝেঁকে ঝেঁকে বলে উঠছে, শক্ত হোতে হবে।
বলুক না। শক্ত ছাদেই গল্প জমুক না! চুক দিয়ে খাওয়া নেই হোলো, চিবিয়ে খাওয়া চলবে তো। হয়তো আমার পছন্দ হবে।
পাছে আক্কেল দাঁতের অভাবে তাকে কায়দা করতে না পারো এই ভয়ে অনেকদিন তাকে চুপ করিয়ে রেখেছি।
ইস্। তোমার ভাবনা দেখে হাসি পায়। তুমি ঠাউরে রেখেছ আমার যথেষ্ট বয়স হয় নি।
১০৭