বাঁশি-ওলা চুপ্ রাও,
টান মেবে উপড়াও,
ধবা হতে ললিতলবঙ্গলতা।
বেল জুঁই চম্পক
দুবে দিক ঝম্পক,
উপবনে জমা হােক জঙ্গলতা।
আমি অস্থির হয়ে দুই হাত তুলে বললুম,—থামো, থামো, আর নয়। জয়দেবের ভূত এখনো কাঁধে বসে ছন্দের সার্কাস করছে, কানের দখল ছাড়েনি। গয়াধামে ঐ লেখাটার যদি পিণ্ডি দিতে চাও তবে ওর উপরে হানো মুষল, ওটাকে চিরকুটে নাস্তা-নাবুদ ক’রে তার উপরে ফুটকি বৃষ্টি করো।
কবি হাত জোড় ক’রে বললে, আমি পারব না—তুমি হাত লাগাও।
আমি বললুম, ঐ যে মারহাট্টা শব্দটা তোমার মাথায় এসেছে ঐটেতেই তোমার ভবিষ্যতের আশা। ‘চলন্তিকা’ থেকে কথাটাকে ছিঁড়ে ফেলেছ, অর্থের শিকড়টা রয়ে গেল মাটির নিচে। শুধু ডাঁটা ধ’রে খাড়া রয়েছে ধ্বনির মাবমূর্ত্তি। এইবার সমস্তটাকে ছন্নছাড়া করে দিই—
দেখে, কী মূর্তি বেরোয়।
হৈ রে হৈ মাবহাট্টা
গাল পাট্টা।
আঁট্সাট্টা।
* * * *
হাড়কাট্টা ক্যাঁ কোঁ কীঁচ্
গড়গড় গড়গড়। • • • • •
হুড়ুদ্দুম-দুদ্দাড়
১২২