তোমাদের কি সত্যযুগের হাইস্কুল, অত্যন্ত হাই। ফাঁকি দেবার লোকই বুঝি ছিল না।
মাষ্টার মশায় ছিলেন অবিচলিত। তিনি বলতেন, সংসারে একদল লোক ফাঁকি দেবেই। কিন্তু নিজের দায় যাদের নিজের হাতে, ওরি মধ্যে তারাই কম ফাঁকি দেয়। আমাদের শাস্তিও ছিল ঐ জাতের। বাইরে থেকে না। একদিন হাজিরি নামডাক উপলক্ষ্যে প্রিয়সখীর পর্সেণ্টেজ্ বাঁচাবার জন্যে মিথ্যে কথা বলে ফেলেছিলুম। তিনি বললেন, অশুচি হয়েছ, প্রায়শ্চিত্ত কোরো। তিনি জানতেও চাইতেন না করেছি কি না।
প্রায়শ্চিত্ত কি করেছিলে।
নিশ্চয়ই করেছিলুম।
অর্থাৎ তোমার পাউডরের কৌটোটা ঐ প্রিয়সখীকে দান করেছিলে।
আমি কখ্খনো পাউডর মাখিনে।
বলতে চাও, তোমার ঐ মুখের রঙ্ তোমার খাষ নিজেরই।
আর যাই হোক্ তোমার কাছ থেকে ধার নিইনি, মিলিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবে।
ছি, আমাকে নিয়ে তোমার দৃষ্টিতে যদি ভেদবুদ্ধি দেখা দেয় তাহোলে জাতে দোষারোপ ঘটে। আমরা যে সবর্ণ-বর্ণভেদের জো কী। হাতের কাছে কবি থাকলে বলতেন, তোমার গায়ের রং ফুটে বেরিয়েছে ব্রহ্মার হাসি থেকে।
আর তোমার রং তাঁর ঠাট্টার হাসি থেকে।
এ'কেই বলে অন্যোন্য স্তুতি, ম্যুচূয়ল অ্যাড্মিরেশন। পিতামহের দুই জাতের হাসি আছে, একটা দন্ত্য একটা মূর্দ্ধণ্য। আমাতে লেগেছে মূর্দ্ধণ্য হাসি, ইংরেজিতে তাকে বলে উইট্।
দাদামশায়, নিজের গুণগান তোমার মুখে কখনো বাধে না।
১২৯