৪
স্বপ্ন দেখছি কি জেগে আছি বলতে পারিনে। জানিনে কত রাত। ঘর অন্ধকার, লণ্ঠনটা আছে বারান্দায়, দরজার বাইরে। একটা চামচিকে পোকার লোভে ঘুরপাক খেয়ে বেড়াচ্চে, গয়ায় পিণ্ডি-না-দেওয়া ভূতের মতো।
সে এসে হাঁক দিলে,—দাদা ঘুমচ না কি —ব’লেই ঘরে ঢুকে পড়ল। কালে কম্বলে সর্ব্বাঙ্গ মোড়া।
জিগেস করলেম, এ কেমন সজ্জা তোমার।
বললে, আমার বরসজ্জা।
বরসজ্জা! বুঝিয়ে বলো।
কনে দেখতে যাচ্চি।
জানিনে কেন আমার যেন ঘুমে-ঘোলা বুদ্ধিতে ঠেকল যে, ঠিক হয়েছে, এই সজ্জাই উচিত। উৎসাহ দিয়ে বললুম, সেজেছ ভালো। তোমার ওরিজিন্যালিটি দেখে খুসি হলুম। একেবারে ক্লাসিকাল সাজ।
কী রকম।
ভূতনাথ যখন তাঁর তপস্বিনী কনেকে বর দিতে এলেন, তাঁর গায়ে ছিল হাতির চামড়া। তোমার এটা যেন ভালুকের চামড়া। নারদ দেখলে খুসি হতেন।
দাদা সমজদার তুমি। এলেম এই জন্তেই তোমার কাছে এত রাত্তিরে।
কত রাত বলো দেখি।
দেড়টার বেশি হবে না।