যা অশুচি। পঞ্চায়েৎ বসে গেল। কামড়-বিশারদ মশায় হুঙ্কার দিয়ে বললে, প্রায়শ্চিত্ত করা চাই। করতেই হোলো।
যদি না করত।
সর্ব্বনাশ। ও যে পাঁচ-পাঁচটা মেয়ের বাপ; বড়ো বড়ো খর-নখিনীর গৌরীদানের বয়স হয়ে এসেছে। পেটের নিচে ল্যাজ গুটিয়ে সাত গণ্ডা মোষ পণ দিতে চাইলেও বর জুটবে না। এব চেয়েও ভয়ঙ্কব শাস্তি আছে।
কী রকম।
ম’লে শ্রাদ্ধ করবার জন্যে পুরুত পাওয়া যাবে না, শেষ কালে হয়তো বেত-জঙ্গল গা থেকে নেকড়ে বেঘো পুকৎ আনাতে হবে সে ভারি লজ্জা - সাত পুরুষের মাথা হেঁট।
শ্রাদ্ধ নাইবা হোলো।
শোনো একবার। বাঘের ভূত যে না খেয়ে মরবে।
সে তো মরেইছে, আবার মরবে কী ক’বে।
সেই ত আরো বিপদ। না খেয়ে মবা ভালো কিন্তু ম’রে না খেয়ে বেঁচে থাকা যে বিষম দুগ্রর্হ।
পুপুদিদিকে ভাবিয়ে দিলে। খানিকক্ষণ বাদে ভুরু কুঁচকিয়ে বললে, ইংরেজের ভূত তাহোল খেতে পায় কী ক’বে।
তারা বেঁচে থাকতে যা খেয়েছে তাতেই তাদের সাতজন্ম অমনি চ’লে যায়। আমরা যা খাই তাতে বৈতরণী পার হবার অনেক আগেই পেট চোঁ চোঁ করতে থাকে।
সন্দেহ মীমাংসা হোতেই পুপে জিগেস করলে, প্রায়শ্চিত্ত কী রকম হোলো।
আমি বললুম, হাঁকবিষ্ঠাবাচস্পতি বিধান দিলে যে বাঘাচণ্ডীতলার দক্ষিণপশ্চিম কোণে কৃষ্ণপঞ্চমী তিথি থেকে শুরু ক’রে অমাবস্যার আড়াই
৫৪