পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳV) সোক্রেটস [ ১ম ভাগ জ্ঞানের আভিজাত্যই শ্রেষ্ঠ আভিজাত্য; যাহারা জ্ঞানী, তাহারাই দেশ শাসন করিবে, ইহাই নিয়ম হওয়া উচিত। যেখানে সাধারণের কর্তৃত্ব, সেখানে চাই একদল সুশিক্ষিত পরিচালক ; যেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত, সেখানে চাই বিশেষজ্ঞদিগের শাসন । এই মতটীকে প্লেটো তাহার ‘সাধারণতন্ত্রে” পূর্ণাঙ্গ করিয়া মনোহর বেশে চিন্তাশীল ব্যক্তিগণের সমক্ষে উপস্থিত করিয়াছেন; কিন্তু সোক্রেটস। ইহা প্রচার করিয়া আখীনীয়গণের বিদ্বেষভাজন হইয়াছিলেন। হইবারই কথা। তিনি বলিতেন, রাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য সমাজের হিত ; তাহারা ভাবিত, কিসে তাহাদিগের ক্ষমতা ও গৌরব বাড়িবে। শিক্ষাক্ষেত্রেও গুরুতর পার্থক্য ছিল । সোক্রেটীস বলিতেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য সত্যলাভ ; তাহারা চাহিত কৰ্ম্মে দক্ষতা; তিনি বলিতেন, তত্ত্বালোচনা জ্ঞানানুশীলনের সহায় ; তাহারা বলিত, বাকৃপটু হইলেই যথেষ্ট হইল। তিনি সেই জ্ঞানের সন্ধান করিতেন, যদ্বারা রাষ্ট্রের সংস্কার সাধিত হয়; তাহাদিগের গুরু সফিষ্টেরা কেবল সেই জ্ঞানেরই সমাদর করিতেন, যাহার সাহায্যে রাষ্ট্র শাসন করা যায়। পরে দেখা যাইবে, সেক্ৰিাটীসের বিরুদ্ধে যে তিনটী অভিযোগ উপস্থিত হইয়াছিল, তাহার অন্তরালে রাষ্ট্রনৈতিক বিদ্বেষ লুক্কায়িত থাকিয় তাহাকে অপমৃত্যুর কবলে निब्रां व्श्यां ब्रिांछिल । (৬) জগৎ । সোক্রিাটীস বিশ্বাস করিতেন, যে বিশ্বস্তুষ্টিতে স্রষ্টার অভিপ্রায় বিদ্যমান রহিয়াছে; সেই অভিপ্ৰায় মানবের হিতসাধন। জগৎ মঙ্গলময় ; উহার প্ৰতি পদার্থ মানুষের কল্যাণ করিবার উদ্দেশ্যে রচিত হইয়াছে। ব্ৰহ্মাণ্ডের প্ৰত্যেক বস্তুতে উপায় ও উদ্দেশ্যের একটা সামঞ্জস্য দেখিতে পাওয়া যায়; ইহা হইতে বুঝিতে হইবে, নিখিল বিশ্বে এক জ্ঞান-শক্তি ক্রিয়া করিতেছে। আমরা সৃষ্টি-কৌশলে স্রষ্টার পরিচয় পাই। ক্ষিতি, বারি, অগ্নি, বায়ু; চন্দ্ৰ, সূৰ্য্য, গ্ৰহ, তারা ; পশু, পক্ষী, কীট, পতঙ্গ ; সকলেই মানবের উপকার করিতেছে, সকলেই স্রষ্টার সর্বজ্ঞতা ও সর্বশক্তিমত্তার সাক্ষ্য দিতেছে। সোক্রেটীস প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের দিক হইতে বিশ্বজগৎ অধ্যয়ন করেন নাই,