পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७छे अक्षांश ] সোক্রেটসের কয়েকটি মত qዓ তিনি উহাতে স্ৰষ্টার কৌশল ও অভিপ্রায় খজিতেন ; এবং উহাতে জ্ঞানেবা লীলা দেখিয়া বিশ্বাস ও ভক্তি পরিপুষ্ট করিতেন। জগৎ সম্বন্ধে তাহার উদার মতটী গ্ৰীকদিগের চিন্তাপ্রবাহ নূতন পথে লইয়া গিয়া প্রাচীন প্ৰাকৃতিক বিজ্ঞানকে নব আকার প্রদান করিয়াছিল। উহাতে ভ্ৰম থাকিলেও লোকের চিত্তকে স্মৃষ্টির অনুশীলনে আকৃষ্ট করিয়া উহ। জ্ঞানোন্নতির সমূহ সাহায্য করিয়াছে । (৭) ঈশ্বর। সোক্রেটাস সে কালের গ্রীকদিগের মত দেবদেবীর অস্তিত্বে বিশ্বাস করিতেন; কিন্তু তঁাহাদিগের সম্বন্ধে যে-সকল উপাখ্যান প্ৰচলিত ছিল, তাহাতে র্তাহাব শ্রদ্ধা ছিল না । তিনি একাধারে বহুদেববাদী ও একেশ্বরবাদী ছিলেন। এদেশে ইহা নূতন নয় ; আমাদিগের অনেক বড় বড় সাধকই এক্ষেত্রে সোক্রোটসের সতীর্থ ছিলেন। “জীবনস্মৃতির” চতুর্থ ভাগের তৃতীয় অধ্যায়ে তিনি বলিতেছেন, “দেবগণ নানারূপে আমাদিগেব, কত হিতসাধন করিতেছেন, কিন্তু আমরা চৰ্ম্মচক্ষুতে র্তাহাদিগকে দেখিতে পাই না ; তঁাহারা যখন আমাদিগকে ইষ্ট বস্তু প্ৰদান করেন, তখন্তু সশৰীরে আমাদিগের সম্মুখে আবিভূতি হন না ; আমরা সংসারের বিবিধ কাৰ্য্যের মধ্যে র্তাহাদিগের পরিচয় পাইয়া র্তাহাদিগকে পূজা ও অৰ্চনা করি, এবং তাঁহাতেই তৃপ্ত থাকি। তেমনি, বিশ্বের প্রভু সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বরও আমাদিগের চক্ষুর গোচর নহেন ; তিনি ব্ৰহ্মাণ্ডকে বিধৃত করিয়া রহিয়াছেন, তাহাব যাবতীয় ব্যাপার বিধান করিতেছেন, তাহাকে সৌন্দৰ্য্যে ও মঙ্গলে পূর্ণ করিয়া রচনা করিয়াছেন ; ইহার ক্ষয় নাই, ধ্বংস নাই, বিশৃঙ্খলা নাই ; তিনিই ইহাকে নিয়ত রক্ষা করিতেছেন; ইহা মন অপেক্ষাও দ্রুতগতিতে যথাবিধি তঁহারই ইচ্ছা! পালন করিতেছে। তিনি নিখিল বিশ্বের নিয়ন্তারূপে সৰ্ব্বত্র বর্তমান থাকিয়াও আমাদিগের নিকটে অদৃশ্য ও নিরাকার।” সেক্রটীস বিশ্বাস করিতেন, এক অদ্বিতীয় ঈশ্বর প্রজ্ঞাশক্তিরূপে জগতে বিদ্যমান আছেন ; দেহের সহিত আত্মার যে সম্বন্ধ, ব্ৰহ্মাণ্ডের সহিত র্তাহার সেই সম্বন্ধ ;