পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম অধ্যায় ] সোেক্রটীসের পূর্ববর্তী দার্শনিকগণ ଅରଧ এবং যতদূর সম্ভব ঘনীভূত হইলে প্রস্তরের আকার গ্ৰহণ করিয়া ९८ ?? আনাক্ষিমেনীস সঙ্কোচন ও প্রসারণের তত্ত্ব প্রচার করিয়া তৎকালীন বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন করিয়াছেন। আনাক্ষিমেনীস যাহাকে মরুৎ নামে অভিহিত করিয়াছেন ও আমরা যাহাকে মরুৎ বলি, এই উভয়েব মধ্যে পার্থক্য আছে। তঁহার মতে বায়ু, প্ৰাণ বা নিঃশ্বাদ, বাত্যা, বাষ্প বা কুষ্মাটিকা, এ সকলই মরুতের বিভিন্ন রূপ। তিনি বলিতেছেন, আত্মা অর্থাৎ প্ৰাণবায়ুব সহিত মানবজীবনের যে সম্বন্ধ, মরুতের সহিত জগতের অবিকল সেই সম্বন্ধ, অর্থাৎ আদিম উপাদান মরুৎ সেমিন জগতের, তেমনি মনুষের জীবন রক্ষা করিতেছে। আমরা এক্ষণে জগৎ সৃষ্টি সম্বন্ধে আনাক্ষিমেনীসের কয়েকটি উক্তি উদ্ধত করিতেছি। “তিনি বলেন, মকত্ব যখন চাপ-প্ৰাপ্ত বা বিঘটিত হইল, তখন অগ্ৰে পৃথিবীর সৃষ্টি হইল ; ইহা অত্যন্ত বিস্ত্রীর্ণ, সুতরাং বায়ুদ্বারা বিধৃত।” ‘সুৰ্য্য, চন্দ্র, এবং অন্যান্য অগ্নিময় জোতিষ্কমণ্ডলীও বিস্তৃত, অতএব বায়ুদ্ধাবা বিধৃত। পৃথিবী হইতে যে বাষ্প নিৰ্গত হইয়াছিল, তাহাতে জ্যোতিষ্কসমূহ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই বাষ্প সূক্ষ্মতর হইলে অগ্নি উৎপন্ন হয়; তারকারাজি এই উৰ্দ্ধগত অগ্নিসস্তুত। নক্ষত্ৰলোকে পার্থিব উপাদান-রচিত অনেক পিণ্ড আছে, তাহারা নক্ষত্রদিগকে পরিভ্রমণ করিতেছে। তিনি বলেন, অনেকে মনে করে, জ্যোতিষ্কমণ্ডলী পৃথিবীর নীচে গমন করে, কিন্তু তাহা ঠিক নহে ; উষ্ণীষ যেমন মস্তকের চতুর্দিকে ঘুরিতে পারে, উহারা তদ্রুপ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরিতেছে। সুৰ্য্য যে পৃথিবীর তলদেশে যায় বলিয়া অদৃশ্য হয়, তাহা নহে; কিন্তু উহা পৃথিবীর উচ্চতর ভাগ দ্বারা আবৃত হয়, এবং উহার দূরত্বও বাড়িয়া যায়, এই জন্যই দৃষ্টির বহির্ভূত হইয়া থাকে। তারাগুলি পৃথিবী হইতে বহুদূরে অবস্থিত, এ জন্য তাপ প্ৰদান করে না ।” ‘সুৰ্য্য অগ্নিময়, এবং বৃক্ষপত্রের ন্যায় প্রশস্ত।” ‘5य अभिश्म ।'