পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম অধ্যায় ] সোেক্রটীসের পূর্ববৰ্ত্তী দার্শনিকগণ >ミ? করুন, দেখিবেন, আত্মা জড়ীয় ; ইহার শৈত্য ও উত্তাপ আছে; ইহা অপর পদার্থে শক্তি সঞ্চার করে । হীরাক্লাইটস অগ্নি সম্বন্ধে ও এম্পেড ক্লাস বিরোধ সম্বন্ধেও তাঁহাই বলিয়াছেন। শুধু ইহাষ্ট নহে; আত্মা সুক্ষ্মতম, সুতরাং সৰ্ব্বত্ৰ প্ৰবেশ করিতে পাবে । একথা কেবল জড়পদার্থ সম্বন্ধেই খাটে । সত্য বটে, আত্মা সৰ্ব্বজ্ঞ ; কিন্তু অন্যান্য আচাৰ্য্যেরা অগ্নি ও বায়ুতেও সৰ্ব্বজ্ঞতা আরোপ করিয়াছেন। আত্মা দেশে অবস্থিত; যেহেতু ইহাব বৃতত্তর ও ক্ষুদ্রতর অংশ আছে। সম্ভবতঃ আনাক্ষাগবাস যাবনিক প্রস্থানের “সৰ্ব্বজ্ঞ পদাৰ্থ” বর্জন করিতে অনিচ্ছুক হইয়া উহাকে নব্যদর্শনেব। ‘গতিপ্ৰদায়ক পদার্থের” অর্থাৎ নিয়ন্ধী-শক্তিব সহিত এক ও অভিন্ন বলিয়া গ্ৰহণ করিয়াছেন। তবে তিনি শেষোক্ত পদার্থকে এম্পেড ক্লাসেব ন্যায় ‘পেম ও দিবোধ’ সংজ্ঞা না দিয়া “আত্মা” নাম দিয়াছেন, এইটুকু তাহাব বিশেষত্ব । সৃষ্টি-প্রকরণ । আনাক্ষাগারাসের সৃষ্টিতত্ত্ব বিস্তুতরূপে ব্যাখ্যা কবিবার স্থান নাই ; আমবা মাত্র দুই তিনটা উক্তি উদ্ধত কৰিব। পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী যবন দাৰ্শনিকদিগের ন্যায় তিনিও বহু জগতেব অস্তিত্বে বিশ্বাস কবিতেন । (১) “পৃথিবী থালার ন্যায় সমতল ; ইহা আকারে বৃহৎ ও ইহার চতুর্দিকে শূন্য নাই, এই জন্য অকাশে অবস্থিতি করিতেছে। এই জন্যই বায়ু মহাবল, উহা আশ্ৰয়ৰূপে পৃথিবীকে ধরিয়া রহিয়াছে।” (২) “সুৰ্য্য, চন্দ্র, ও তারারাজি অগ্নিময় প্রস্তর, ঈথারের ঘূর্ণনবশতঃ চক্রাকারে ভ্ৰাম্যমাণ হইতেছে। সুৰ্য্য ও চন্দ্ৰ নক্ষত্রপুঞ্জের নিম্নে অবস্থিত ; তাহাদিগের সহিত আরও কতকগুলি পাণ্ড আবৰ্ত্তন করিতেছে। কিন্তু তাহারা আমাদিগের নিকটে অদৃশ্য।” (৩) “সূৰ্য্য পেলপনীসস অপেক্ষা আকারে বৃহৎ । চন্দ্রের নিজের আলোক নাই, কিন্তু সুৰ্য্য হইতে আলোক প্ৰাপ্ত হইয়া থাকে। তারাগণের কক্ষ পৃথিবীর অধোদেশ দিয়া গিয়াছে।” (৪) “পৃথিবী যখন চন্দ্ৰ হইতে সূৰ্য্যালোক আবৃত করে, তখন চন্দ্ৰগ্ৰহণ হয় ; চন্দ্রের নিয়ে যে পিণ্ডগুলি আছে, তদ্বারাও কখন কখনও গ্ৰহণ