४भ अक्षांश ] সোেক্রটসের শ্রাবকবর্গ V) তেন। ইহারা জীবন-যাত্রার সহজ পথ আবিষ্কার করিয়াছিলেন ; সুখ ও সম্ভোগই ইহাদিগের তপস্ত ছিল ; এবং ভোগের উপকরণ-সংগ্রহের কোন উপায়ই ইহাদিগের নিকটে উপেক্ষণীয় বলিয়া বিবেচিত হইত না। সোক্রেটসের চরিত্রে আত্মত্যাগ, সংযম, ধৰ্ম্মভীরুতা, স্বদেশপ্রেম ও ভগবদভক্তি দেদীপ্যমান ; ইহাদিগের জীবনে দেখিতে পাই বিলাসমগ্ন সুখপ্রিয়তা, লঘু বহুমুখিতা, স্বদেশ নিরপেক্ষ বিশ্বপ্ৰেম, এবং আস্তিক্যবুদ্ধিবিবর্জিত বিচার প্রবণতা। তথাপি আমরা এমন বলিতে পারি না, যে আরিষ্টিপ্লস সেক্রোটসের ভাক্ত শিষ্য ছিলেন, অথবা তাহার দর্শন গুরু প্ৰদত্ত শিক্ষার প্রহসনবিশেষ। দার্শনিক গবেষণায় তিনি যে গুরর প্রভাব দ্বারা গভীর রূপে আবিষ্ট হইয়াছিলেন, তাহাতে অণুমাত্ৰও সন্দেহ নাই। ইহা সত্য, যে তঁহাতে সোফ্রাটসের জ্ঞানানুরাগ, তত্ত্বানুসন্ধানে অটল আস্থা এবং সত্যনির্ণয়ে অপরাজেয় উদ্যম পরিলক্ষিত হয় না। সোক্রেটস জ্ঞানাহরণে আপনার সমগ্ৰ শক্তি নিয়োজিত করিয়াছিলেন ; আরিষ্টিপ্লস তাত্ত্বিক জ্ঞানকে মানুষের পক্ষে সাধ্য বলিয়াই বিশ্বাস করিতেন না ; সোক্রেটস জ্ঞানের নূতন তত্ত্ব ও জ্ঞানোপাৰ্জনের নব পন্থা প্রচার করেন ; আরিষ্টিপ্লস ব্যবহারিক জ্ঞান ছাড়া আর কিছুই চাহিতেন না। এ সকল সত্ত্বেও আমাদিগকে স্বীকার করিতে হইবে, যে আরিষ্টিপ্লস যেবিচার দক্ষতা ও সংস্কারবর্জিত সংযত ভাবের গুণে প্ৰশংসিত হইয়া আসিতেছেন, তাহা তিনি সোক্রোটসের নিকটেই শিক্ষা করিয়াছিলেন। র্তাহার নৈতিক শিক্ষা ও আচরণ সম্বন্ধেও ঐ কথা প্ৰযোজ্য। তিনি এই দুই বিষয়ে গুরুর অপেক্ষা কত হীন ছিলেন, তাহা কাহাকেও বুঝাইয়া বলিতে হইবে না, তথাপি গুরুর সহিত র্তাহার সাদৃশ্যও ঘনিষ্ঠ ছিল। আমরা বলিয়াছি, সোফ্র্যাটাস হিতবাদের উপরে ধৰ্ম্মনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন ; অর্থাৎ তিনি ফল দ্বারা কীৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্যের বিচার করিতেন। আরিষ্টিপ্লাসও এই জন্য ভাবিয়াছিলেন, যে জীবনের লক্ষ্য সম্বন্ধে সোত্ৰাটীসের সহিত র্তাহার মতভেদ নাই, যদিচ সুখসাধনের উপায়-বিষয়ে উভয়ের মতবৈষম্য অতি গুরুতর। তৎপরে, আরিষ্টিপ্লাসও গুরুর কতকগুলি গুণের অধিকারী ছিলেন। সর্বাবস্থার উন্ধে অবস্থিতি করিবার উপযোগী অবিচলিত
