৮ম অধ্যায় ] সোক্রেটসের শ্রাবকবর্গ Sክዖግ তাহাতেও একটা সুমার্জিত প্ৰণালী ছিল না। প্লেটোই প্ৰথমে সোক্রোটসের দার্শনিক মতগুলির বিকাশ সাধন করিয়া উহাকে একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ দর্শনে পরিণত করেন; তাহার ধৰ্ম্মনীতির সহিত পূৰ্ব্বতন জড়বিজ্ঞানের যোগ স্থাপিত করেন ; এবং এই উভয়কে তর্কশাস্ত্ৰ ( dialectics ) অর্থাৎ স্ফোট-বিজ্ঞানের উপরে প্রতিষ্ঠিত করিয়া যান। সোক্রিাটীস বলিতেন, সামান্যের বা স্ফোটের জ্ঞান সম্যক জ্ঞান ও সম্যক কৰ্ম্মের মূল ; প্লেটো বলিতেছেন, যদি তাহাই হয়, তবে বিচাবিসঙ্গত মননই একমাত্ৰ সত্যজ্ঞান, এবং স্ফোটই ( idea ) একমাত্ৰ সৎ পদার্থ। অতএব সোক্রেটাস যে সামান্যকে জ্ঞানাহরণের উপায় বলিয়া বরণ করিয়াছিলেন, প্লেটাে তাহাকেই পরম সৎ পদার্থে উন্নীত করিয়া এক নূতন দর্শন রচনা করিয়াছেন । - উভয়ে আরও একটী প্ৰভেদ আছে। সোক্রেটস জ্ঞানানুশীলন ও নীতিসঙ্গত আচরণকে একই পৰ্য্যায়ে স্থান দিয়াছেন ; তিনি বলিতেছেন, জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম এক । কিন্তু প্লেটো জ্ঞান ও কৰ্ম্মের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ স্বীকার করিয়াও উভয়ের পার্থক্য বিস্মৃত হন নাই ; তিনি জানিতেন, বিশুদ্ধ জ্ঞান, এবং নীতির পথে ইচ্ছাশক্তির পরিচালন, এই দুই এক ও অভিন্ন নহে। কিন্তু তজ্জন্য তিনি আরিষ্টটলের ন্যায় দর্শনকে নিরবচ্ছিন্ন তাত্ত্বিক ব্যাপার বলিয়াও বিশ্বাস করিতেন না ; তিনি তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জীবনের ঐকান্তিক ভেদ অস্বীকার করিয়াছেন। তৎপরে, প্লেটাে শুধু স্ফোটবিজ্ঞানের সাহায্যে নয়, কিন্তু জড়বিজ্ঞানের গবেষণা দ্বারাও সোক্রেটসপ্ৰবৰ্ত্তিত ধৰ্ম্মনীতির পূর্ণতা সম্পাদন করিয়াছেন। তবে একথা ঠিক, যে জড়বিজ্ঞানের চর্চায় তিনি শিষ্য আরিষ্টটলের সমকক্ষ হইতে পারেন নাই। তিনি কেবল স্ফোটসমূহকেই বাস্তবসন্তা বলিয়া অঙ্গীকার করিয়া লইয়া জড়ের অস্তিত্ব নিরসন করিয়াছেন, সুতরাং তঁহার দ্বারা এই পরিদৃশ্যমান জগতের সদব্যাখ্যা প্রদত্ত হয় নাই। তাহা হইলেও তাহার প্রশংসার বিষয় এই, যে তিনি যেমন একদিকে দর্শনালোচনায় সোক্রোটীসকে পশ্চাতে রাখিয়া অগ্রসর হইয়াছেন, তেমনি অপর দিকে তদীয় পূৰ্ববৰ্ত্তী দার্শনিকDD BBBDB D BDB DBBB DDDDS DBBu BB DDD BgDD
