পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম অধ্যায়। ] সোক্রেটসের শ্রাবকবর্গ } করিতে পারে। ধাৰ্ম্মিক জন ধৰ্ম্মাচরণে সুখসুবিধার আকাঙ্ক্ষারূপ কোনও অভিসন্ধি পোষণ করেন না ; তিনি জ্ঞানকে সেই মুদ্রা বলিয়া বিবেচনা করেন, যাহার বিনিময়ে সকল বস্তুই প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। প্লেটো এইরূপে সফিষ্টদিগের ধৰ্ম্মনীতির প্রতিবাদ করিয়াছেন। উহ! পূৰ্ববৰ্ত্তী দুই অধ্যায়ে ব্যাখ্যাত হইয়াছে ; এবং সফিষ্টগণের প্রতি প্লেটোর মনোভাব কি প্ৰকার ছিল, তাহাও আমরা বলিয়াছি, সুতরাং পুনরুক্তি পরিবর্জিত হইল । লৌকিক ভ্ৰম নিরসন করিয়া প্লেটাে দর্শনরচনায় প্রবৃত্ত হইলেন। তিনি দর্শনকে এক বিপুল জ্ঞান-তপস্যা ও ধৰ্ম্মসাধনরূপে বরণ করিয়াছিলেন, তাহা আপনারা জানেন । দার্শনিক রতি বা উদ্যম দর্শনের ভিত্তিভূমি। কিন্তু সোফ্রাটীস যেমন দার্শনিক অনুরাগকে শুধু জ্ঞানালোচনার আবদ্ধ না রাখিয়া জ্ঞানো পাৰ্জনের সঙ্গে সঙ্গে উহাকে অপরের অন্তরে জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের উৎপাদনে নিয়োজিত করিয়াছিলেন, প্লেটোও তেমনি উহাকে ব্যবহারিক জীবনে সত্যোপলব্ধির সহিত একত্র গ্রথিত করিয়াছেন ; এ জন্য র্তাহার গ্রন্থে ইহা প্ৰজননীশক্তি বা কাম (Eros) বলিয়া BDBDBDBDB DBBDYS S DDDB BD DBBS DDDuYD BBBD DTuS DBDS প্ৰাণনা বা উদ্দীপনা (mania) হইতে डेङ्ङ श्छ्रेम्ना ९ाहक। अाख्रा স্বৰ্গলোকে অবস্থানকালে যে-সকল স্ফোট বা আদিরূপ (archetpyes) দর্শন কবিত, যখন সে ভূতলে তাহাদিগের পার্থিব প্ৰতিবিম্ব দেখিতে পায়, তখন তাহার স্ফোটের স্মৃতি জাগ্রত হইয়া উঠে ; এবং তখন সে বিস্ময়ে ও পুলকে অধীর হইয়া ভাবাবেশে নিমগ্ন হইয়া যায়। স্ফোট ও পরিদৃশ্যমান বিশ্বপ্ৰপঞ্চের এই যে প্রভেদ, ইহাই সেই বিস্ময়ের মূল কারণ, প্লেটো যাহাকে দর্শনের বীজ বা উদগম বলিয়া আখ্যাত করিয়াছেন। মহত্তরের আভাসমাত্র পাইয়া প্ৰত্যেক সদন্তঃকরণপুরুষ যে-প্রকার চাঞ্চল্য ও দহনযন্ত্রণায় চমকিত ও দিশাহারা হইয়া উঠেন, এবং তখন তঁহার আচরণে যে অনৈপুণ্য ও বিসদৃশতা প্ৰকাশ পায়, প্লেটাে তাহা সুললিত ভাষায় চিত্রিত করিয়াছেন। (Thuact, 17:30, 175B,B)। দর্শনের উৎসাহ যে-কারণে প্রেমের রূপ ধারণ করে, “ফাইড়স” নামক নিবন্ধে তাহা বিবৃত হইয়াছে, এবং