পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&०भ अक्षांश ] সোক্রেটীস ও বুদ্ধ \9e সেশ্বর গ্ৰীক ধৰ্ম্ম ও নিরীশ্বর বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের মধ্যে জ্ঞান, বীৰ্য্য ও সংযম, এই তিন সাধারণলক্ষণগত ঐক্য আছে। গ্ৰীক ধৰ্ম্মও পুরুষকার প্রধান। “উন্মত্ত ভাবোচ্ছাস, মৰ্ম্মম্ভদ অনুশোচনা, ধূলিতে অবলুণ্ঠন, দর বিগলিত ধারে অশ্রবর্ষণ-এগুলি গ্ৰীক ধৰ্ম্মের প্রকৃতিবিরুদ্ধ।” ( প্ৰথম খণ্ড, ৩৩২ পৃষ্ঠা )। “গ্রীক জাতির ধৰ্ম্মসাধনে দীনতা, • অনুতাপ ও বিলাপ তেমন স্থান পায় নাই।” ( ঐ, ৩৩৭ পৃষ্ঠা )। অতএব, পুরুষকারের সমাদরে বুদ্ধ ও সোক্রোটসের মধ্যে স্বভাবতঃই ঐক্য দৃষ্ট হইতেছে। সোক্রেটস প্রার্থনাশীল ছিলেন ; কিন্তু তিনি সকল বিষয়ের জন্য দেবতার চরণে প্রার্থনা করা সঙ্গত বোধ করিতেন না। তিনি অতি বীৰ্য্যবান, নিৰ্ভীক পুরুষ ছিলেন। যিনি যুদ্ধক্ষেত্রে, জনসভায়, রাষ্ট্রবিপ্লবে কোন দিন ভয় কাহাকে বলে জানিতেন না, জীবনের অন্তিমসময়ে বিষপান করিতে করিতেও যিনি মুহূৰ্ত্তের জন্যও বিচলিত হন নাই, তিনি যে পুরুষকারের আদর্শস্থানীয় BBBS BDD DBBDB DDBD DBBD DBDYBD DDD S চতুর্থ কণ্ডিকা বিচার-প্ৰণালী আমরা শিক্ষাপ্রণালী সম্বন্ধে বুদ্ধ ও সোেক্রাটীসের সাদৃশ্য দিঙামাত্র প্ৰদৰ্শন করিয়াছি। লোকশিক্ষকরূপেই এই দুই মহাজনের মধ্যে নানা বিষয়ে বিচিত্ৰ ঐক্য দেখিতে পাওয়া যায়। আমরা একে একে সেগুলির আলোচনা করিব। প্রথমেই বিচার-প্ৰণালী আমাদিগের মনোযোগ আকর্ষণ করিতেছে। জ্ঞানালোচনায় সোক্রেটস কি কি সংস্কারের কাৰ্য্য সাধন করেন, তাহা পঞ্চম অধ্যায়ে বর্ণিত হইয়াছে; প্রশ্নোত্তরমূলক বিচার-প্ৰণালীর প্রকৃতি কি, দৃষ্টান্ত দ্বারা তাহাও বুঝাইতে আমরা চেষ্টা করিয়াছি। এখানে আমরা বিনয়-পিটক হইতে একটী ও সুত্ৰ-পিটকের অন্তৰ্গত দীঘ নিকায় হইতে আর একটী উদাহরণ আহরণ করিয়া দেখাইব, যে বুদ্ধ ও সোেক্রাটীসের বিচার-প্ৰণালী প্ৰায় একরূপ ।