পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७० स्त्रथांश } সোেক্রটীস ও বুদ্ধ \9) সামাজিক অবস্থা ও বিধিব্যবস্থা অতিক্ৰম করিয়া তিনি যে নারীসমাজে একদিনেই একটা যুগান্তব্য আনয়ন করিতে পরিবেন, ইহা কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তিই আশা করিতে পারেন না। দেশকালের প্রভাব্যবশতঃ তিনিও পুরুষদিগের মধ্যেই সতীর্থ ও সমসাধক খুজিয়াছেন, তাহাদিগের সঙ্গেই দিবসের অধিকাংশ কাল কাটাইয়াছেন ; রমণীকুলে তাহার কোনও অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিল না ; তঁাহাব সহধৰ্ম্মিণীও জ্ঞানচর্চায় তাহার সঙ্গিনী হইতে পারেন নাই। সৰ্ব্বত্যাগী পরিব্রাজক শাক্যমুনি ধৰ্ম্মসাধনে ও ধৰ্ম্মপ্রচারে কোনও রমণীর সহিত ঘনিষ্ঠ যোগে যুক্ত হন নাই ; তঁহার জীবন-ব্ৰত তাহাকে নারীগণ হইতে দূরেই রাখিত। তঁহার জীবনচরিতকার জন্মণদেশীয় পণ্ডিত ওলডেনবাৰ্গ বলেন, এইখানে ঈশার সহিত বুদ্ধের একটা গুরুতর প্রভেদ ; ভক্তিমতী বেটানীবাসিনী মেরীর ন্যায় ৰুদ্ধের কোনও শিষ্যা ছিল না ; মহাপরিনিব্বাণের সময়ে তাহার শয্যাপাশ্বে যে কোনও ভিক্ষুণী উপস্থিত ছিলেন, তাহারও কোনও নিদর্শন নাই। ওলডেনবার্গের কথা সত্য; কিন্তু মনে রাখিতে হইবে, যে ঈশা ও বুদ্ধের আদর্শে অলঙ্ঘনীয় ব্যবধান ছিল । নারীজাতিব প্ৰতি ভাব সম্পর্কে বরং সোত্ৰাটীসের সহিত তাহার বিলক্ষণ সাদৃশ্য আছে। সোক্রোটসের অন্তিমকালেও মৃত্যুকক্ষে কোনও নাবী উপস্থিত ছিলেন না; বিষপানের দিন প্ৰাতঃকালে তিনি পত্নীকে শোকে অধীর দেখিয়া তাহাকেও গহে। পাঠাইয়া দিয়াছিলেন। সেক্রেটস ঠিক বুদ্ধের কথায় সহচরদিগকে রমণীর প্রতি আচরণ-বিষয়ে সতর্ক থাকিতে উপদেশ দেন নাই বটে, কিন্তু তিনি ইন্দ্ৰিয়সংযমের প্রতি সদা তীক্ষ দৃষ্টি রাখিতেন ; সুতবাং চরিত্রের পবিত্ৰত বক্ষা সম্বন্ধে হঁহাদিগের মনোভাবের যে বিশেষ পার্থক্য ছিল, आभां८ि१श qभन्म 6वां श्में नां । আনন্দ বুদ্ধকে একদিন জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভগবন, আমরা মাতৃজাতির প্রতি কি প্রকার ব্যবহার করিব ?” ‘তাহাদিগকে দেখিবে না, আনন্দ ।” “কিন্তু, ভগবন, তাহাদিগকে যদি দেখিয়া ফেলি, তবে কি প্রকার ব্যবহার করিব ?”