পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম অধ্যায় ] আবির্ভাবকাল G মানুষ সৎপথে থাকিয়া যত উপায়ে ধন লাভ করিতে পারে, তাহারা তাহার কোনটাকেই অনাদর করিত না । আথেন্সে বৈদেশিকগণের আগমন ও বসতি নিষিদ্ধ ছিল না। আতিথেয়তা আখীনীয় চরিত্রের একটী বিশিষ্ট সদগুণ ছিল ; আথেন্সে কৰ্ম্মোপলক্ষে যাহারা আসিত, তাহারাই সাদবে গৃহীত হইত ; নানা দেশের সহিত এই পুরীর অবাধে আদান প্ৰদান চলিত। আথেন্সের এই সুগমতা ও সহৃদয়ত তাহাব ব্যবসা-বাণিজ্যেব উন্নতি সাধন করিয়া তাহাকে গ্ৰীক জগতের বৈষয়িক কেন্দ্ৰে পরিণত করে। শিল্পকলায় নিপুণ ব্যক্তিমাত্রেই এখানে আসিয়া লাভবান হইত ; এজন্য এই নগরে বিবিধ ও বিচিত্র প্রকারেব শিল্পকৰ্ম্মেব সমাবেশ ঘটিয়াছিল। ফলতঃ আথেন্স কারুকাৰ্য্য ও শ্রমশিল্পের শিক্ষালয়, এবং নৈপুণ্যসাধ্য উৎকৃষ্টতর দ্রব্যাজাত ক্রয়বিক্রয়ের সৰ্ব্বোত্তম পণ্যবীথিকা বলিয়া গণ্য হইয়াছিল। বণিকগণ নানা দিগদেশ হইতে পণ্যসম্ভাব লইয়া এখানে আগমন করিত। আথেন্সের ধাতব ও চৰ্ম্মের দ্রব্য, প্ৰদীপ, তৈজস পত্র, বিশেষতঃ মৃন্ময় সামগ্ৰী সৰ্ব্বত্র সমাদৃত হইত। শিল্প বাণিজ্য দ্বারা সাতিশয় ঋদ্ধিমান হইয়াও আর্থীনীয়ের একটী বিশেষত্ব রক্ষা করিয়াছিল । ধন্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ অলস ও সুখপ্রিয় হইয়া পড়ে। কিন্তু আথেন্সে ধনবল ও স্বাধীন পুরবাসীর উদ্যম একত্র পরিদৃষ্ট হইত ; এখানে ধনের মৰ্য্যাদা ছিল বটে, কিন্তু এই যুগে আখীনীয়েরা ঐশ্বৰ্য্যের মোহে অন্ধ হইয়া ধনীর চাবণে আপনাদিগকে বিকাইয়া দেয় নাই । কিন্তু ঐহিক সম্পদেব পরাকাষ্ঠাই পেরিত্নীস-যুগেব। প্রধান গৌরব নয়। এই সময়ে আথেন্স গ্ৰীক জাতির বিশ্ববিদ্যালয় হইয়া উঠিয়াছিল, এবং জগতের বিবিধ বিদ্যার ধারা মিলিত হইয়া ইহাকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ত্ৰিবেণী-সঙ্গম করিয়া তুলিয়াছিল। পঞ্চম শতাব্দীর আরম্ভ হইতে মধ্যভাগ পৰ্য্যন্ত এই এক পুরীতে যত মরণজয়ী পুরুষের আবির্ভাব হইয়াছিল; এই কালে এখানে বিদেশ হইতে যত মনস্বী ব্যক্তি আগমন করিয়াছিলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে অন্য কোনও দেশে আজ পৰ্য্যন্ত সে প্ৰকাব দেখা যায় নাই। থেমিষ্টকীস, কিমোন, আরিষ্টাইভীস,