পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ অধ্যায়। ] বিচার ও মৃত্যু Šyዓ8 কিছুই নাই । সেক্রেটস ধৰ্ম্মপালনেও স্বাধীনতা চাহিতেন ; আথেন্স কখনও এপ্ৰেকাব স্বাধীনতা দেখে নাই, এবং এপ্রকার স্বাধীনতা সহও করিতে পারিত না। এই রকম পুরীতে যিনি সংস্কাবকরূপে আবিৰ্ভত হইবেন, তিনি একদিন না একদিন আপনার শিরে উদ্যতবাজ আহবান করিবেনই করিবেন। সোত্ৰাটীস বিচারালয়ে সোজা কথায় বলিয়াছিলেন, “হে আৰ্থানীয়গণ, আমি তোমাদিগকে শ্রদ্ধা কবি ও ভালবাসি; কিন্তু আমি তোমাদিগের অপেক্ষা ববং ঈশ্বরেরই অনুগামী হইব।।” (Api., 17)। যাহারা মাতৃস্তন্য পান করিবার সঙ্গে সঙ্গে সর্ববিষয়ে বাষ্ট্রানুগত্য শিক্ষা, করিয়া আসিতেছে, তাহাদিগেব নিকটে এমন বিদ্রোহিত প্ৰচাব করিলে তাহারা এই নব মতের প্রচারককে যমালয়ে প্রেরণ না করিয়াই পারে। না । অতএব গ্রীকের ন্যায় ও রাষ্ট্রবিষয়ে যে প্ৰাচীন মত পোষণ করিত, সেই মতেব দিক দিয়া যিনি সোক্রোটসেব দণ্ড বিচাবি করিবেন, তিনি উহা অবৈধ বলিতে পরিবেন না । আমরা আর্থীনীয়গণের পক্ষে যাহা বলিবাব আছে, বলিলাম। আমবা দেখিলাম, গ্রীকেরা আবহমানকালপ্রচলিত নীতির অনুসরণ করিত, এবং ধম্মাচারে স্বাধীন বিচাব পাবিহাবি কবিয়া, “মহাজনো যেন গত: স পন্তাঃ”-অৰ্থাৎ যাহা বহু জনসম্মত এবং পূৰ্ব্বপুরুষগণ কর্তৃক আচরিত, তাহাই আচরণীয়; তাহারা যে পথে গিয়াছেন, সেই পথই পথ—এই বিধি মানিয়া চলিত। অধিকন্তু পূজাৰ্চনা ও দৈবতকম্মে পুরবাসীরা একত্ৰ উঠিবে, একত্ৰ বসিবে, এক কথা বলিবে, একমান, একপ্ৰাণ, এক হৃদয় হইবে, ইহাই সমুদায় গ্রীক রাষ্ট্রেব চিরন্তন নিয়ম ছিল। যেব্যক্তি নীতি ও ধৰ্ম্মে সব্বসাধাবণের সহিত ঐকমত্য রক্ষা করিতে পরিবে না, তাহাকে দণ্ড দিয়া নিৰ্ব্বিষ করিয়া বাখ রাষ্ট্রের অপরিহাৰ্য্য কৰ্ত্তব্যপ্লেটোর ন্যায় উন্নতমনা: দার্শনিকও এই মত প্রচার করিয়াছেন। বরং আখীনীয়দিগের প্রশংসার বিষয় এই, যে তাহারা এত দীর্ঘকাল সোত্ৰাটসকে অক্ষতদেহে জ্ঞানপ্রচারে নিযুক্ত থাকিতে দিয়াছিল। এক আথেন্সের ন্যায় আলােপপ্রিয় ও স্পষ্টকথার পক্ষপাতী নগবেই ইহা সম্ভব হইয়াছিল। এই প্রসঙ্গে তাহাদিগেব সপক্ষে ইহাও বলা উচিত, যে