পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV) সোক্রেটস | >भ डांश মুহুর্তের যে বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে, তাহা পড়িয়া মনে হয়, সে পতির প্ৰতি তাহার অকপট প্ৰেম ছিল । জেনফোন কিন্তু তাহার উগ্ৰস্বভাবের প্ৰতি কটাক্ষ করিতে ছাড়েন নাই। “সোক্রেটসের জীবনস্মৃতি” নামক গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগের দ্বিতীয় অধ্যায়ে সোক্রেটস ও তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রের যে কথোপকথনটী উদ্ধত হইয়াছে, তাহার আরম্ভটাই এই, যে পুত্ৰ জননীর দুৰ্দমনীয় ক্রোধ ও মুখরতা সহিতে না পারিয়া পিতার নিকটে অভিযোগ করিতেছেন। (Mem. II, 2) সোক্রেটসের বন্ধুরা তঁহার দ্বন্দ্বপ্রিয়া পত্নীকে লক্ষ্য করিয়া যে সময়ে সময়ে তাহাকে পরিহাস করিতেন, জেনফোনের “ পান-পৰ্ব্ব” নামক পুস্তকে তাহার আভাস পাওয়া যায় । উহাতে লিখিত আছে, যে কাল্লিয়াসের গৃহে এক বালিকার ব্যায়াম, কৌশল দেখিয়া সোক্রেটাস বলিলেন, “বন্ধুগণ, এই বালিকার ক্রীড়া ও অন্যান্য অনেক বিষয় হইতে স্পষ্টই দেখা যাইতেছে, যে নারীজাতি শারীরিক বল ও উদ্যমে পুরুষদিগের অপেক্ষা হীন হইলেও বুদ্ধিতে তাহদের অপেক্ষা নূ্যন নহে ; অতএব তোমাদিগের মধ্যে যাহারা বিবাহিত, তাহাবা পত্নীকে যাহা ইচ্ছা শিক্ষা দিও ; নিশ্চয় জানিও, যে তাহাতে তোমরা সুফল পাইবে।” কথাটা শুনিয়াই আণ্টিস্থেনীস বলিলেন, “আচ্ছা, সোত্ৰগটস, ইহাই যদি তোমার মত হয়, তবে তুমি ক্ষস্থিাপ্পীকে শিক্ষা দেও না কেন ? তাহা না দিয়া তুমি কেন এমন স্ত্রী লইয়া ঘর করিতেছ, যার তুল্য ক্ৰোধপরায়ণ নারী এক্ষণে ধরাতালে রমণীকুলে বিদ্যমান নাই, কোন দিন ছিল না, এবং কস্মিনকালেও থাকিবে না।” সোক্রেটস উত্তর করিলেন, “কেন, বলিতেছি। যাহারা অশ্বারোহণে দক্ষ হইতে চায়, তাহারা মৃদু-স্বভাব অশ্ব ক্রয় করে না ; তাহারা তেজীয়ান ঘোড়াই পছন্দ করে ; কারণ তাহারা জানে, যে এগুলি বশীভূত করিতে পারিলে তাহারা অক্লেশে অন্য সব ঘোড়াই চালাইতে পরিবে । আমিও তেমনি সর্বসাধারণের সহিত আলাপ ও বাস করিতে চাই বলিয়া এই প্রকার রমণীর পাণিগ্ৰহণ করিয়াছি ; কেন না, আমি বেশ জানি, যে আমি যদি ইহার সহিত বাস করিতে পারি, তবে আর সকলের সঙ্গই সহিতে পারিব।” (Symp. II, {0, 10 ) । সে যাহা হউক, কতকটা