পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ხ8 সোক্রেটস [ sभ उांश “একদল বেতনভুকু লোক আছে, অর্থে পাৰ্জন করাই তাহাদিগের মুখ্য উদ্দেশ্য। জনসাধারণ তাহাদিগকে “সফিষ্ট’ নাম দিয়াছে; তাহারা তাহাদিগকে আমাদিগের প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করে । বহুসংখ্যক লোক একস্থানে মিলিত হইলে তথায় অধিকাংশ ব্যক্তি যে সমুদায় মত প্ৰকাশ করে, উহারা সেই মতগুলি ছাড়া আর কিছুই শিখায় না ; এইগুলিকেই তাহারা বলে “জ্ঞান” । কোনও ব্যক্তি যদি একটা প্ৰকাণ্ড ও মহাবল জানোয়ার পোষণ করিয়া তাহার খেয়াল ও রুচি পৰ্যবেক্ষণ কবে ; কিরূপে ইহার কাছে যাওয়া যায়, কিরূপে ইহাকে স্পর্শ কবিতে হয়, কখন কেন ইহা একান্ত ক্রুদ্ধ হইয়া উঠে, কখন কেন ইহা শান্ত থাকে ; অপিচ। কখন ইহা নানা রকম রাব করে, এবং অপরে কিরূপ রব কবিয়া ইহাকে শান্ত বা উত্তেজিত করে-দীর্ঘকাল এই জানোয়াবের সংস্রবে থাকিয়া এইগুলি অনুশীলন ও আয়ত্ত করিয়া এই ব্যক্তিও তাহা হইলে আপনার পৰীক্ষার ফলগুলিকে জ্ঞান বলিয়া অভিহিত করিতে পারে ; এবং এই ফলগুলিকে একটা বিদ্যার আকারে শৃঙ্খলাবদ্ধ কুরিয়া একটা বিদ্যালয়ও খুলিয়া দিতে পারে। যদিচ এই জানোয়ারটার কোন খেয়াল ও রূচিগুলি ভাল, কোনগুলি মন্দ, কোনগুলি কল্যাণকর, কোনগুলি অকল্যাণকর, কোনগুলি ন্যায্য, কোন গুলি অন্যায়, তাহা কিন্তু বাস্তবিক সে কিছুই জানে না ; এজন্য সে এই অতিকায় জানোয়ারটার খেয়ালগুলিকেই ঐ সকল নাম দিয়া তৃপ্ত থাকে ; উহা যাহা পছন্দ করে, তাহাকেই সে বলে কল্যাণ, যাহা অপছন্দ করে, তাহাকে বলে অকল্যাণ । সে কল্যাণ ও অকল্যাণের সংবাদ ইহার অধিক আর কিছুই রাখে না। শুধু তাহাঁই নহে; যে-সকল কাজ বাধ্য হইয়া করা হয়, সেইগুলিকেই সে “ন্যায্য” ও “সুন্দব’ নামে আখ্যাত করে ; কেন না, যাহা বাধ্যতামূলক ও যাহা শ্ৰেয়ঃ, এই দুইয়ের মধ্যে যে আকাশপাতাল ভেদ রহিয়াছে, তাহা সে নিজেও বুঝিতে পারে নাই এবং অপরকেও বুঝাইতে পারে না। - দেবতার দিব্য, বল দেখি, তুমি কি মনে কর না, যে এইপ্ৰকার এক ব্যক্তি অতি অদ্ভুত শিক্ষক হইয়া দাড়াইবে ? “ई, निकब्रछे कब्रि।