পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৭৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ8Հ সোক্রেটস [ ৩য় ভাগ তুমি তাহাকে এই প্ৰকার দ্বন্দ্বে আহবান করিতেছি, তখন সে যাহাতে কথায় ও কাৰ্য্যে সদ্ব্যবহার দ্বারা তোমাকে অতিক্রম করিতে পারে, সেই জন্যই সংগ্রামে রত হইবে । তোমাদিগের অবস্থাটা এক্ষণে এই প্ৰকার-ঈশ্বর যে হাত দুখানি পরস্পরের সাহায্যের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন, তাহারা যদি সেই উদ্দেশ্য সম্পন্ন না করিয়া পরস্পরকে বাধা দিতে আরম্ভ করে ; কিংবা ঈশ্বরের বিধানে যে পা’ দুখানি পরস্পরের সহযোগিতার অভিপ্ৰায়ে রচিত হইয়াছে, তাহারা যদি তাহ অবহেলা কবিয়া পরস্পরের ব্যাঘাত উৎপাদন করিতে থাকে, তবে যেমন হয়, ( তোমাদিগেব অবস্থাও ঠিক তাই । ) যাত। আমাদিগের উপকারের জন্য সৃষ্ট হইয়াছে, তাহা আমাদিগের অপকারের জন্য ব্যবহার করা কি ঘোর অজ্ঞতা ও দুর্ভাগ্যের বিষয় নয় ? আমার তো অধিকন্তু বোধ হয়, যে, হস্তদ্বয়, পদদ্বয়, নয়নদ্বয় ও মানুষের অন্যান্য যে-সকল প্ৰত্যঙ্গ, ঈশ্বব যুগা করিয়া রচনা করিয়াছেন, সে সমুদায় অপেক্ষাও তিনি ভ্ৰাতৃদ্বয়কে পরস্পবের অধিকতর উপকারের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন। কেন না, হাত দুখানিকে যদি একই সময়ে দুই গজের অধিক দূৰে কোন কাজ করিতে হয়, তবে তাহারা তাহা করিতে পরিবে না ; পা” দুখানি এককালে দুই গজ ব্যবধানে দুইটী পদার্থের নিকটে যাইতে সমর্থ হইবে না ; চক্ষু দুইটী যদিচ বহু দূরে পহুছিতে পাবে বলিয়া বোধ হয়, তথাপি যে-পদার্থগুলি অতি নিকটে, সেগুলিও তাহারা যুগপৎ সম্মুখে ও পশ্চাতে দেখিতে পায় না। কিন্তু দুই ভ্ৰাতা পরস্পরের প্রতি অনুরক্ত হইলে, অতি দূরদেশে থাকিয়াও সমকালে কাৰ্য্য করিয়া একে অন্যের ইষ্ট সাধন করিতে পারে।”