পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোত্ৰগটস [ ४भ उठाश وU\ বিশুদ্ধ আকার লাভ করিয়াছে। এই নিয়ম অনুসারেই দেখিতে পাই, প্ৰত্যেক ধৰ্ম্মই জ্ঞানচর্চার ফলে যুগে যুগে সংস্কৃত ও নবীভূত হইতেছে। হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টীয়, কোন ধৰ্ম্মই চিরকাল অবিকল এক থাকিয়া যাইতেছে না। যদি থাকিত, তবে “ধৰ্ম্মের অভিব্যক্তি” কথাটার কোন অর্থই খাজিয়া পাওয়া যাইত না। তৎপরে, জ্ঞান যদি মানুষের ধৰ্ম্মজীবনে প্রভাব বিস্তাব না পরিত, তবে বিদ্যালয়গুলির কোনও সার্থকতা থাকিত না। ধন্ম জিনিসটা যদি একেবারে জ্ঞাননিরপেক্ষ হইত, তবে আমরা কিরূপে আশা করিতে পারিতাম, যে জ্ঞান পাইলে লোকের চরিত্র পরিবৰ্ত্তিত হইয়া যাইবে ? কেহই এরূপ বলিবে না, যে শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবল মনোবৃত্তির উৎকর্ষ সাধন করা ; চরিত্রের সহিত, ধৰ্ম্মের সহিত উহার কোনও সম্পর্ক নাই ; ববং এই বাঙ্গলা দেশে যে একটা রবি উঠিয়াছে, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় কোনই ফল হইতেছে না-এই ব্যর্থতাবোধই, অকারণ হউক আব্ব সকাবণ হউক, আমাদিগকে, স্পষ্টরূপে বলিয়া দিতেছে, যে শিক্ষা যদি ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে উদ্দীপ্ত ও বলিষ্ঠ করিয়া না তুলিতে পারে, তবে অন্য শতগুণ থাকিলেও উহা নিস্ফল; শুধু নিম্ফল নয়, ভবিষ্যৎ অকল্যাণের নিদান। সুত বাং BDBD S SD DS DDB S KBBB DBDDBS BBDDS DDDD S DBBDBB D DBBBB छेश्रांव्र नाशें । ইহাতে প্ৰমাণিত হইল, সোক্রোটসেব মতটাতে আংশিক সত্য বৰ্ত্তমান। কিন্তু উহা অভ্রান্ত নহে। “জীবনের উদ্দেশ্য ও সার্থকতা সম্বন্ধে উজ্জ্বল জ্ঞান না থাকিলে মানুষ ধাৰ্ম্মিক হইতে পারে না,” এই মত মানিলে বালকবালিকা ও অধিকাংশ বয়ঃপ্ৰাপ্ত নরনারীর নৈতিক জীবন অর্থহীন হইয়া পড়ে। কিন্তু মানুষ জন্মাবধি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্ররূপ আবেষ্টনের মধ্যে থাকিয়া উহাদিগের নীরব প্রভাবে গড়িয়া উঠে। সে যেমন বায়ুসাগরে অজ্ঞাতসারে নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস গ্ৰহণ করিয়া দৈহিক জীবন রক্ষা করে, তেমনি অজ্ঞাতসারে সামাজিক রীতিনীতি, বিধিব্যবস্থা, পূজাৰ্চনার মধ্যদিয়া তাহার ধৰ্ম্মজীবন পরিপুষ্ট হয়। জন্ম হইতে মৃত্যু পৰ্য্যস্ত জ্ঞানের আলোকে জীবনকে পরিচালিত করিতে