পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७छै अश्वाश ] সোক্রেটসের কয়েকটীি মত \هم পারে, এমন ভাগ্যবান পুরুষ সংসারে কেহ আছে কি ? সোক্রেটস নিজেই তো উপদেবতার বাণী অর্থাৎ জ্ঞানাতীত এক ঐশীশক্তির নিকটে আত্মসমৰ্পণ করিয়াছিলেন। প্রকৃত কথা এই, যে কোনটা আমাদিগের জ্ঞানগোচর, এবং কোনটা আমাদিগের জ্ঞানের অগোচর, কখন আমরা সংজ্ঞান, সচেতন, বা জাগ্ৰত, এবং কখন আমরা অজ্ঞান, অচেতন, বা সুপ্ত, এই দুইয়ের মধ্যে সীমারেখা নির্দেশ করা একান্ত কঠিন। আমরা তা জ্ঞানতা হইতে যাত্ৰা করিয়া ক্ৰমে জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করি ; অবোধ শৈশবে নিৰ্বিচারে ধৰ্ম্মবিধির নিকটে নতি স্বীকার করিয়া ধীরে ধীরে জ্ঞানের আলোকে পথ চলিতে অভ্যস্ত হই। আমাদিগের নৈতিক জীবন কোন সোপানেই সম্পূর্ণরূপে জ্ঞানানুগত বা একেবারে জ্ঞানবর্জিত নহে। বাহিরের অনুশাসন সঙ্গত বলিয়া জানিয়া অন্তর সানন্দে তাহা গ্রহণ ও পালন করিবে, মানুষ বাল্যাবধি যে-শিক্ষা পায়, ইহাই তাহার লক্ষ্য। অতএব, ধৰ্ম্মজীবন ষোল আনাই জ্ঞানসাপেক্ষ, আমরা ইহা স্বীকার করিতে পারি না । তৎপরে, মতটী যে সম্পূৰ্ণ সত্য নহে, প্ৰত্যেক সরলপ্ৰাণ ধম্মার্থবি জীবন তাহা দেখাইয়া দিতেছে। কেবল ইচ্ছাশক্তিই মানুষের সবখানি নয়, তাহাতে বুদ্ধি, প্ৰবৃত্তি, ভাব, ইচ্ছা, সমস্তই আছে। তাহার ইচ্ছা কেবল জ্ঞানের পথে চলে না-জ্ঞানের পথে বরং উহা অল্পই চলিতে চায় ; উহা অধিকাংশ সময়েই কাম, ক্ৰোধ, লোভ প্রভৃতি রিপুর অধীন থাকে ; সুতরাং ভালকে জানিলেই যে লোকে সকল সময়ে ভালকে ভালবাসতে পারে, তা’ নয় । এই জন্যই জ্ঞান মানুষকে সৰ্ব্বত্ৰ পাপ হইতে রক্ষা করিতে পারে না ; এবং এই জন্যই দেখিতে পাই, যাহাদিগের ধম্মানুরাগ অত্যন্ত গভীর, র্তাহারাও এক এক সময়ে জ্ঞান ও কন্মের অসামঞ্জন্তের তীব্ৰ বেদনায় অধীর হইয়া আত্তনাদ করিয়া থাকেন। এদেশে বিদ্যালয়ের বালকেরাও এই শ্লোকটী কণ্ঠস্থ করে জানামি ধৰ্ম্মং ন চ মে প্রবৃত্তি: জানাম্যধৰ্ম্মং ন চ মে নিবৃত্তিঃ । a“আমি ধৰ্ম্ম জানি, কিন্তু তাহাতে আমার প্রবৃত্তি হয় না; আমি