পাতা:সোক্রাটীস (প্রথম খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ8 সোক্রেটস [ छूमिका লক্ষ্য কি, এই প্রশ্ন করিলাম। ইহার উত্তরে তিনি যাহা বলিলেন, তাহাতে বুঝিলাম, দম্পতীর কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে বলিতে গেলে তঁাহার কোনই জ্ঞান নাই। র্তাহার জননী তাঁহাকে শুধু এই উপদেশ দিয়াছিলেন, যে তিনি যেন স্বামীর প্রতি স্বচ্ছা থাকেন। আমি তখন তঁহাকে এইরূপে বিবাহিত জীবনের অভিপ্ৰায় ও দায়িত্ব বুঝাইয়া দিতে প্ৰবৃত্ত হইলাম। ‘বিধাতা পুরুষ ও নারীকে বিভিন্ন গুণের অধিকারী করিয়া সৃষ্টি করিয়াছেন। পুরুষের দেহ ও মন শীত,গ্ৰীষ্মসহিষ্ণু, শ্রমপটু, সাহস ও বীৰ্য্যে পরিপূর্ণ। এই সকল কঠোর গুণ তাহাকে দূরদেশে ভ্ৰমণ, দেশের জন্য সংগ্রাম প্রভৃতি গৃহের বাহিরের কঠিন, শ্রমসাধ্য ও বিপৎসস্কুল কৰ্ম্মের উপযোগী করিয়াছে। পক্ষান্তরে, রমণীর মধ্যে পুরুষোচিত গুণের অভাব ও কান্তকোমল গুণের মনোহর সমাবেশ বিদ্যমান ; অতএব গুহই তাহার প্রধান কৰ্ম্মক্ষেত্ৰ। স্বামী বাহির হইতে ধনাহরণ করিবেন, এবং স্ত্রী গৃহে থাকিয়া তাহার সুব্যবস্থা করিয়া আপনার সমগ্ৰ শক্তি সন্তানপালনে ও গৃহস্থালীর সুশৃঙ্খলা সাধনে নিয়োজিত করিবেন, ইহাই ঈশ্বরের অভিপ্ৰায়। পতি অলস ও অর্থে পার্জনে বিমুখ হইলে পত্নী যেমন একেবারে নিঃসহায়, তেমনি গৃহিণী গৃহকৰ্ম্মে সুনিপুণ না হইলে পতির অর্থগমও সম্পূর্ণ নিরর্থক।” এই উপদেশ শুনিয়া ইশ্বমাখস-জায়া সকল বিষয়ে স্বামীর অনুগামিনী হইবার জন্য দৃঢ় সংকল্প করিলেন, এবং তিনি যখন যে কৰ্ত্তব্য নির্দেশ করিতে লাগিলেন, তাহাই যথাশক্তি সম্পাদন করিতে ও যত্নবতী হইলেন। গৃহে যখন যে শস্যবিত্ত আসিতেছে, তাহা যথাস্থানে সুবিন্যস্ত করিয়া রাখিয়া দেওয়া, দাসদাসী দিগকে যথাসময়ে আপন আপনি কাৰ্য্যে নিয়োগ করা, তাহারা প্ৰভুর কাৰ্য্যে অনলস কিনা, তৎপ্রতি তীক্ষ দৃষ্টি রাখা, অপরাধ করিলে তাহাদিগকে দণ্ড দেওয়া ও পীড়িত হইলে তাহাদিগেয় শুশ্ৰষা করা, অজ্ঞ পরিচারক ও পরিচারিকাদিগকে গড়িয়া পিটিয়া কৰ্ম্মঠা করিয়া তোলা-এই গুলিই তঁহার সর্বাপেক্ষা গুরুতর কৰ্ত্তব্য বলিয়া বিহিত হইল। যে গৃহিণী ঘরকন্নার কাজে সারাদিন ব্যস্ত থাকেন, র্তাহার পক্ষে গৃহের বাহিরো নিৰ্ম্মল বায়ু সেবনের বা ব্যায়ামের কিছুমাত্ৰ । প্রয়োজন থাকে না। দাসদাসীদিগকে খাটাইয়া ও গৃহের সকল রকম কাজ