পাতা:সোক্রাটীস (প্রথম খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७छे अथाम्न] *ब्रियांद्भ AO বলে না, রমণীকুলে তিনিই ধন্য ।” এ যেন বাঙ্গালার শুমল, তরুলতাবেষ্টিত, নিভৃত শান্ত পল্লীর কোন গৃহকোণের মৃদুল গুজন ও অস্ফুট আভাস। আথেন্সের পরিবার সম্বন্ধে যদি এত কথাই বলিলাম, তবে এইখানে আর একটা কথা বলিয়া রাখি। আর্থীনীয়ের এক শারীরিক শৌৰ্য ভিন্ন আর সকল বিষয়েই স্পার্টােনদিগের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হইয়াও নারীজাতির প্রতি ব্যবহারে তাহাদিগের বহু পশ্চাতে পড়িয়াছিল। স্পার্টার রমণীরা পুরুষদিগের মত ব্যায়াম শিখিতেন, মুক্তপক্ষ বিহঙ্গমের ন্যায় স্বচ্ছন্দে সর্বত্র বিচরণ করিতেন, আবশ্যক হইলে স্বদেশের জন্য অস্ত্ৰ ধরিতেও কুণ্ঠিত হইতেন না। শিক্ষার গুণেই তাহারা দৈহিক বলে ও সৌন্দৰ্য্যে এবং পতিভক্তি ও স্বদেশপ্ৰীতিতে আথেন্সবাসিনী ভগিনীদিগকে অতিক্ৰম করিয়া অনুপম কীৰ্ত্তি লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। আথেন্সের নাট্যকারেরা তঁহাদিগকে নির্লজ্জা বলিয়া উপহাস করিতেন বটে, কিন্তু সন্তানপালনের জন্য ধাত্রীর প্রয়োজন হইলে আখীনীয় ভদ্রলোকেরা স্বদেশিনী দিগকে উপেক্ষা করিয়া স্পার্টার ধাত্রীই নিযুক্ত করিতেন। সন্তানপালনে নিপুণ বলিয়া এই ধাত্রীদিগের খ্যাতি গ্ৰীসের সর্বত্র এমন ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছিল, যে ইহারা যেখানে যাইতেন, সেইখানেই সমাদর পাইতেন। আথেন্স ও স্পার্টার নারীদিগের মধ্যে এই যে অবস্থার বৈষম্য ছিল, ইহা চিন্তাশীল আখীনীয়দিগের দৃষ্টি অতিক্রম করে নাই; সোক্রোটসের জীবনকালেই নারীজাতির উন্নতির জন্য আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল। তিনি নিজে এই আন্দোলনে অগ্ৰণী ছিলেন ; তাহার বন্ধু ইয়ুরিপিড়ীস কতকগুলি নাটকে রমণীগণের হীনদশায় ব্যথিত হইয়া তাহদের পক্ষ টানিয়া অনেক কথা বলিয়াছেন ; এবং প্লেটো “সাধারণতন্ত্ৰে” “কন্যাপ্যেবং পালনীয়া শিক্ষণীয়াতিযত্নতঃ” (মহানিৰ্বাণ গন্ত্র। ৮৪৭)-এই নীতি অবলম্বন করিয়া বালকবালিকাদিগের জন্য একই প্ৰকার শিক্ষার বিধি দিয়াছেন। তাই বলিয়া পুরুষ ও নারী যে প্ৰকৃতি, শক্তি ও ধৰ্ম্মসাধনে সমতুল্য, প্লেটো একথা মানিতেন না। বস্তুতঃ, নারী যে প্রায় সৰ্ব্ব বিষয়েই পুরুষ