পাতা:সোক্রাটীস (প্রথম খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७छे अथाग्न ] *ब्रियांद्ध bro ছিল। ক্রমে ইহারা আথেন্স ও অন্যান্য সহরে দেখা দেয়। শুদ্ধাচারিণী না হইলেও ইহারা সাধারণ বারাঙ্গনা অপেক্ষা অধিক সমাদর পাইত, এবং ভদ্র ব্যক্তিগণের মধ্যে ইহাদের যথেষ্ট প্ৰতিপত্তি ছিল। ইহারা সুন্দরী, সুশিক্ষিতা, বুদ্ধিমতী, বাকপটু ও গীতবাদ্যে সুনিপুণা বলিয়া সর্বত্র খ্যাতি লাভ করিয়াছিল, এজন্য আথেন্সের শিক্ষিত লোকেরা নিজ নিজ নিরক্ষর ও মনোরঞ্জনাভিজ্ঞ সহধৰ্ম্মিণীর সাহচর্য্যে বীতরাগ হইয়া সখীদিগের সঙ্গ খুজিত। তাছাড়া, অনেক স্বামীর পক্ষেই সম্রান্ত বংশের পত্নীর কুলের গৰ্ব্ব এমনই অসহনীয় হইয়া উঠিয়াছিল, যে তাহারা ঘর ছাড়িয়া পলাইয়া ইহাদিগের কাছে। যাইয়া প্ৰাণ জুড়াইত। ইহারা মধুর আলাপ ও বিবিধ বিষয়ের জ্ঞানগর্ভ আলোচনা দ্বারা অতিবড় বিজ্ঞজনেরও মন মুগ্ধ করিতে পারিত; সুতরাং ইহাদিগের প্রভাব যে এমন প্ৰবল হইয়া পড়িয়াছিল, তাহাতে আশ্চৰ্য্য হইবার কিছুই নাই। এত গুণ থাকিলেও ইহারা সমাজের কোলে স্থান পায় নাই ; গৃহস্থের ঘরে ইহাদিগের প্রবেশাধিকার ছিল না। কিন্তু সখীদিগের দ্বারা দেশের উপকারও প্রচুর হইয়াছে। এই সম্প্রদায়ের আস্পাসিয়া (Aspasia) অসাধারণ রাজনীতিজ্ঞ পেরিাক্লীসের সহচরীরূপে ইতিহাসে অমর হইয়া রহিয়াছেন। সোক্রেটাস নিজে তত্ত্বালোচনা করিয়া উপকৃত হইবার আশায় ইহার নিকটে যাইতেন ও অপরকেও যাইতে উপদেশ দিতেন। তিনি একদা কথাবার্তা বলিবার অভিপ্ৰায়ে দেবদত্ত (Theodota) নামী আর এক জন সখীর গৃহে গমন করিয়াছিলেন ; জেনফোনের “জীবনস্মৃতি” গ্রন্থে সেই বৃত্তান্ত লিখিত আছে। শুধু পুরুষদিগের কথাই বা বলি কেন ? আথেন্সের কুলাঙ্গনার ইহাদিগকে পতিত বলিয়া হেয় জ্ঞান করিয়া আপনাদিগের গৃহে আসিতে দিতেন না বটে, কিন্তু নিজের জ্ঞানোন্নতির আকাঙ্ক্ষায় ইহাদিগের গৃহে যাইতে দ্বিধা বোধ করিতেন না । মৃচ্ছকটিকের বসন্তসেন এই সখীদিগেরই অনুরূপ ছিল। সখীদিগের বেশভূষার পারিপাট্য অন্তঃপুরিকাগণের রুচিকে অবিকৃত থাকিতে দেয় নাই ; পরের পরিচ্ছেদে তাহার প্রমাণ পাওয়া যাইবে।