পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুমতীর সঙ্গে আসে মধ্য-যৌবনা একটি মহিলা । সাদাসিদে চেহারা, সাদাসিদে বেশ, চোখ দুটির শান্তভাবের । জন্য দৃষ্টি ও বুদ্ধির তীক্ষ্মতা ধরা পড়ে না। গলার আওয়াজ ও কথা মাজিত ও সুস্পষ্ট বলে মিষ্টতাটাও হঠাৎ খেয়াল হয় না। সুমতী পরিচয় করিয়ে দেয়, ইনি প্ৰমীলা বসু, আপনার সাথে আলাপ করতে এসেছেন । নামটা ভালভাবেই শোনা ছিল । সাধনা রীতিমত নার্ভাস হয়ে পড়ে । জীবনে সে কখনো নামকরা মানুষের সংস্রবে। আসে নি, পুরুষ বা নারী। নার্ভাস হয়ে সে শুধু বলে, আসুন, বসুন। সাধারণ আলাপ পরিচয় হতে হতেই সে অবশ্য ধাত ফিরে পায়। এরকম নেতৃস্থানীয়া মহিলাকে বিনা নোটিশে একেবারে ঘরের মধ্যে পাওয়া অভ্যাস ছিল না বলেই প্ৰথমে •একটু ভড়কে গিয়েছিল। খানিক আলাপ করে প্রমীলা বলে, সামনের রোববার আমরা একটা মিটিং ডাকছি-হাইস্কুলের হলটাতে হবে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্য কি ভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেখেছেন তো ? এমনিতেই এদেশে শিশুমৃত্যুর হার কিরকম, একটু দুধটুধ না পেয়ে ছোট ছেলেমেয়েদের কি অবস্থা এসব তো আপনার জানাই আছে। তার উপরে আরও কতগুলি বাড়তি কারণ ঘটে একেবারে শেষ করে দিচ্ছে ওদের। যেমন ধরুন, বাঙালী ছেলেমেয়ের রুটি সয় না। S) (tyr