পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভদ্র জীবনের নিছক সাজানো গোছানো খোলসগুলি, কৃত্রিমতাগুলি, অবাস্তব ভাবাবেগগুলি জীবনের সেরা সম্পদ হিসাবে মহাসমারোহে বঁচিয়ে রাখা হয় ! তলিয়ে সব না বুকুক, বাসন্তী জীবনের সহজ নিয়ম মানে । সে তাই টের পেয়েছে জীবনে কত অনিয়ম আমদানী হওয়ায় তাদের আজ কী দশা । নীচের তলার সাধারণ গরীব মানুষের সব রকম দুৰ্দশাই আছে, একেবারে না খেয়ে মরা পৰ্য্যন্ত চরম দুৰ্দশা,-কিন্তু মৃত জীবনের ভূতের বোঝা তাদের সইতে হয় না । তারা যতই পিছিয়ে থাক, সংস্কার ও বিভ্ৰান্তিতে আচ্ছন্ন হয়ে থাক, তারা নিজের জগতেই আছে, রুক্ষ্ম কঠোর। ৰাস্তবতা নিয়েই আছে। সেখান থেকে শিশুর মত হাটি হাটি পা পা করে এগোলেও “প্ৰতিদিন এগোচ্ছে । রাখাল সাধনাদের মত জরী চুমকি বসানো লাল নীল বাতি দিয়ে সাজানো হাতীর দাতের কারুকাৰ্য্য করা কৃত্রিম অবাস্তব মিনার ঘাড়ে বয়ে বেড়ানোর ঝনঝাট তাদের নেই। ভদ্রঘরের ছেলে বাধ্য হয়ে কারখানায় খাটছে, কণ্ডাকটরি করছে, ফেরিওলা হয়েছে-কিন্তু সেটা যেন জীবনটাকে খাপ খাইয়ে নিয়ে বঁাচার জন্য নয়, ভদ্রজীবনটাকে কোন রকমে বঁাচাবার জন্য । এ দায় নেই বাসন্তীদের । ছলনা। চাতুরী নিয়ে নয়, হিসাব করা পলিসি নিয়ে নয়, রাজীবের অম্বর GO