পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাখাল একটু থামে। সাধনা গভীর মনোযোগের সঙ্গে তার কথা শুনছে দেখেও তার সংশয় জাগে যে সে তার কথার মৰ্ম বুঝবে কি না । তার নিজের সম্পত্তি, নিজের স্ত্রীশাস্ত্র এবং আইন যাকে যথেচ্ছভাবে ভোগ করার অধিকার তাকে দিয়েছে।--অথচ প্ৰায় তিন সপ্তাহ সে তাকে স্পর্শ করে নি । তাকে মানুষ ভাবে বলেই যে তার এই প্ৰাণান্তকর সংযম-এটুকু কি মাথায় ঢুকবে সাধনার ? এ যে তার রাগ অভিমান নয়, এতে যে তার বাহাদুরী নেই, সত্যই তাকে মানুষ মনে করে বলে তাকে বাধ্য হয়ে এ সংযম পালন করতে হচ্ছে, এই সহজ সরল কথাটা ? সাধারণ কলহ বিবাদ হলে আলাদা কথা ছিল। এখনকার অচল অবস্থায় সাধনাকে অপমান করার সাহস তার নেই ! সে মানুষ বলেই নেই । কোনদিক দিয়ে কি ভাবে তার প্রতিক্রিয়া আসবে সে জানে না । কিন্তু সাধনা মানুষ বলেই প্ৰতিক্রিয়াটা যে সাংঘাতিক হবে এটুকু জানে । ধীরে ধীরে সে বলে, মনুষ্যত্বের দাবী নিয়ে সেন্টিমেণ্টাল হলে, ঝোকের মাথায় যন্ত্রের মত বিচার করলে, ফলটা মারাত্মক হয়। আসল কথাটাই গুলিয়ে যায়। পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ মনুষ্যত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে । এটা মানুষেরি কীর্তি,-একদল মানুষের। এই দলের সঙ্গে বাকী মানুষের একটানা বিবাদ । পৃথিবীতে যত যুদ্ধ বিগ্ৰহ বিক্ষোভ বিদ্রোহ সব কিছুর গোড়ায় ওই R O Y