পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংঘাত। সোভিয়েটে চীনে বিপ্লব ঘটেছে এই কারণে-পৃথিবীর বঞ্চিত মানুষেরা ক্ৰমে ক্ৰমে জয়ী হচ্ছে। এসব মোটামুটি তুমিও জানো আমিও জানি। এখন কথাটা হল এই, তুমি আমি চাইলেই মানুষের সব অধিকার পেয়ে যাব না। আমাদের ক্ষোভ আছে, দাবী আছে, লড়াই চলছে নানা ভাবে -এ একটা প্ৰক্ৰিয়া । ক্ষোভ আছে-কিন্তু বাস্তবকে ভুলে শুধু ক্ষোভটা ফেনিয়ে পাগল হলে তো চলবে না। আমাদের। আমাদের বঁাচতেও হবে-যতই বঞ্চিত হই। আর অপমান সই, জীবনটা আমাদের ফেলনা নয়। এটুকু বুঝে, লড়াই চলছে জেনে, ধৈৰ্য্য আমাদের ধরতেই হবে, বাস্তবকে মানতেই হবে । তা না হলে, হতাশা আসবে, বৈরাগ্য জাগবে, মন বিগড়ে যাবে, জ্বালাটা অসহ্যু হয়ে খুন করার কিম্বা আত্মহত্যার কোক আসবে । ঃ আমার কি হয়েছে ? ঃ তোমার মন বিগড়ে গেছে, জীবনে বিতৃষ্ণা এসেছে। চব্বিশ ঘণ্টা তুমি শুধু ভাবিছ স্ত্রী হওয়ার জন্য তোমার জীবনে কত অপমান পরাধীনতা অসম্পূর্ণতা। জ্বালাটা ফেনিয়ে ফঁাপিয়ে তুলে তুমি একটা অবাস্তব অসম্ভব জীবন চাইছ-এ জীবনটা ভাল লাগছে না । জীবনটা মায়া, জগৎটা মায়া, সব কিছু বাজে, ক্ৰমাগত এসব ভাবতে ভাবতে যেমন বৈরাগ্যের বিকার আসে, চোখ বুজে একটা আধ্যাত্মিক জগতে বাস করতে সাধ হয়-তোমারও তাই হয়েছে। বাস্তবের সঙ্গে আড়ি করলে এই বিপদ হয় । আমি যে চাকরী করতাম S. O ER