পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আটকে এলেও ইতিমধ্যেই তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বাসন্তীর। তাড়াতাড়ি উঠে গেলে অন্য কথা ছিল। এক বাড়ীতে মানুষ বাস করলে তাদের বেশীদিন এড়িয়ে চলা একপাল ছেলে মেয়ে হৈ চৈ করে বলে খারাপ লাগা কি আর বাসন্তীর পক্ষে সম্ভৰ । নিরীহ গোবেচারী রাধাকে হাসি মুখে চব্বিশ ঘণ্টা সংসার নিয়ে ব্রিব্রত হয়ে থাকতে দেখে বেশ একটু গরম গরম মমতা বোধ করে বাসন্তী, নীচের তলায় গিয়ে তার সংসার করা দেখতে দেখতে তাকে মায়া করতে তার ক্রমেই যেন বেশী বেশী ভাল লাগে । তার মেয়েটাকে প্ৰায় বেদখল করে ফেলেছে। রাধার বড় তিনটি ছেলে মেয়ে। তাদের বাচ্চ ভাইটি বড় রোগা, খেলা ধুলা করে না, হাসে না, আদর সইতে পারে না। বাসন্তীর নাদুস নুদুস মেয়েটাকে ওরা তাই কাড়াকড়ি করে কোলে নেয়, আদর করে, খেলা দেয় । আর রাধার রোগ বাচ্চাটার বড় বড় চোখের করুণ চাউনি দেখে এমন মায়া হয় বাসন্তীর যে দিনে দশ বার তাকে কোলে না নিয়ে সে পারে না ! কাজেই বাড়ী বদলের কথাটা এখনো মুখে বললেও কাজে আর সেটা হয়ে ওঠে না । রাখাল বলে, ওর বাপের বাড়ীতে নিশ্চয় অনেক লোক ? সাধনা বলে, মস্ত সংসার । Tð 8