পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাখালকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে যাবার দিনটির প্ৰতীক্ষা করতে করতে তার কি সহস্থ হবে চোখের সামনে ওদের উদাম উচ্ছল ভালবাসা, সরস মধুর মিলন, পৃথিবীতে স্বল্পজগৎ রচনা করা ? দু’জনের কাণ্ড দেখে সে থ’ বনে যায় । সে যেমন ভেবে ছিল সে রকম কিছুই দু’জনকে করতে না দেখে ! হাতে যেন স্বৰ্গ তারা পায় নি, সুখে আনন্দে অন্ততঃ কিছুদিনের জন্য দিশেহার হবার মত কিছুই যেন ঘটে নি । মিলনটা যেন তাদের একটা সাধারণ ঘটনা । দু’জনের আনন্দ টের পাওয়া যায়। সুমতীর মুখে কেমন একটু রুক্ষ্মতার ছাপ ছিল, সেটা উপে গিয়ে নতুন লাবণ্যের সঞ্চারটা স্পষ্টই চোখে পড়ে । দু’জনে সুখী হয়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু দু’জনের হাসি গল্প মেলামেশা ঘবকান্না সবই যেন শান্ত আর সংযত । হৃদয়োচ্ছাসের উদামত নেই। একদিন রাত্রে ওরা দুয়ার বন্ধ করলে সাধনা চেষ্টা করেও নিজেকে ঠেকাতে পারে না, খানিকক্ষণ চুপি চুপি দুয়ারের ফুটোয় চোখ পেতে উকি দিয়ে নিজের ঘরে ফিরে মনে হয়, সে যেন নতুন রকম ম্যাজিক দেখে এল । বিয়ের এতকাল পরে সংঘাতে সংঘাতে সম্পর্ক একরকম ছিড়ে যাবার পর, ভিন্ন হয়ে শান্তিতে থাকা ঠিক করার পর, তার আর রাখালের সম্পর্ক যেমন দাড়িয়েছে, রুদ্ধ ঘরের R >