পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখিয়ে, একজন মন্ত্রিমশায়ের একজন ভাগ্নেকে দোকানে মহা সমাদরে চা বিস্কুট খাইয়ে, কি ভাবেই না মাথাটা গুলিয়ে দিয়েছিল তার । তারপরেই সর্বনাশ হয়ে যেত, একেবারে শ্ৰীঘরে গিয়ে বাস করতে হত, যদি না বাসন্তী গায়ের সব গয়না খুলে দিত, ট্রাঙ্কে তার বিয়ের বেনারসীর নীচে লুকানো নোট কঁচ টাকা আর ভাঙা গয়নার সোণায় হাজার পাচেক টাকা বার করে দিত । কত জন্ম তপস্যা করে না জানি সে এমন বেী পেয়েছে, এমনি চরম বিপদ থেকে তাকে উদ্ধার করার জন্য যে পাঁচ ছ’ বছর ধরে কেঁদে কেটে ঝগড়া করে নতুন গয়না আদায় করেছে, খুটে খুটে নোট আর কঁাচ টাকা জমিয়েছে, আচল গয়নার সোনা কিনে রেখেছে ! লোকে তাকে স্ত্ৰৈণ বলে। ভাগ্যে সে স্ত্রৈণ হয়েছিল । এবার থেকে আরও সে পোষ মানবে বাসন্তীর ! নতুন পার্টনার নিয়ে শুধু বাস-চলা রাস্তায় তিন হাত চওড়া দশ হাত গভীর একটা খোপারে সে নতুন দোকান খুলেছে। মস্ত বড় এলাকার বাজারটার কাছাকাছি । বাড়ী কাছে হয়েছে দু’জনের । চার পয়সা বাস ভাড়া লাগে । রাখাল মাঝে মাঝে ব্যবসায় বুদ্ধির পরিচয়ও দেয়। সেটা আসলে অবশ্য তার বাস্তব-বুদ্ধি। R