পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাওয়ার জন্য পৃথক থালা বাসনের ব্যবস্থা আছে, খাওয়ার পর নিজেরাই ধুয়ে মেজে সাফ করে রাখে। কোথায় সেই জমিদারি-জমিদার এসে আস্তানা গেড়েছে কোথায় । কে জানে। এখানে বসে সে কি করে চালাবে জমিদারী, কি করে ভোগ করবে। অন্যে যে জমি চাষ করে তার পুরুষানুক্ৰমে পাওয়া স্বত্ব । দোতালার ঠাকুর ঘরেই আজও সে বিশুকে পড়ায়। প্ৰতি পূর্ণিমার বিশেষ পূজার দিন বিশুর মার শোবার ঘরে পড়বার ব্যবস্থা হত, যে সুযোগে রাখাল বিশুর মার গয়না ক’খানা সরাতে পেরেছিল । সে ব্যবস্থা রহিত হয়ে গেছে । পূর্ণিমা তিথিতে ছাত্রকে আর তার পড়াতেই হয় না। রাখালকে বলে দেওয়া হয়েছে, ওইদিন তার ছুটি । বিশুর মার শোবার ঘরের বন্ধ দরজায় আজকাল তালা বুলতে দেখা যায়। কে জানে কতদিন পরে বিশুর মা টের পেয়েছিল যে তার ক’খানা গয়না কমে গেছে। একদিন হঠাৎ তার শোবার ঘরের দরজায় তালা দেখে বুকটা ছাৎ করে উঠেছিল इत२८ळद्र । । প্ৰতি পূৰ্ণিমায় তার ছুটি । বিশুর মার ঘরের দরজায় তালা ! বিশুর মা কি জেনেছে যে গুরুর মত শ্রদ্ধেয় বিদ্যাদাতা রাখাল নিয়েছে গায়ন কটা ? 80